খোয়াই, ৫ মার্চ : ৮ কোটি টাকার রেগা বকেয়া। খোয়াই জেলা শাসকের কার্য্যালয়ে আজ অনুষ্ঠিত দিশা বৈঠকে সামনে এলো এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব ত্রিপুরা আসনের সাংসদ কৃতি সিং দেববর্মা, বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, এমডিসি কমল কলই সহ অন্যান্যরা। তবে এই দিশা বৈঠকে কার্যত রাগান্বিত দেখালো ২৪-রামচন্দ্রঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের তিপ্রা মথা পার্টির বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মাকে। প্রশ্ন তুললেন রেগার বকেয়া মজুরি নিয়ে।
“রেগার বকেয়া টাকা কবে পাবে শ্রমিকরা? সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়লেন জেলা শাসক ও সাংসদের সামনেই। শুধু তাই নয়, বকেয়া রেগার টাকা না পেলে রাস্তা অবরোধ থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের আন্দোলনে নামার কথাও বললেন বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। যদিও জেলাশাসক রজত পন্ত আশ্বাস দেন যে এই মাসের মধ্যেই বকেয়া রেগার টাকা প্রদান করা হবে। তিনি আরও বলেন ২০০৭ সাল থেকে সরকার রেগার পেমেন্ট করে আসছে। কোথাও কোন বকেয়া নেই। তাই এক্ষেত্রেও অন্যথা হবেনা। মার্চ মাসের মধ্যেই বকেয়া রেগার টাকা প্রদান করা সম্ভব হতে পারে বলে সাংসদ কৃতী সিং দেববর্মাকেও আশ্বাস দেন খোয়াই জেলা শাসক।
যদিও সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎ পর্বে সাংসদ কৃতী সিং দেববর্মা অথবা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা রেগার বকেয়া টাকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি লাইনও খরচ করেননি। কৃতী সিং দেববর্মা বলেন, যেহেতু সামনেই বর্ষা আসছে তাই বন্যা নিয়ন্ত্রন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে মুলত দিশা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি আশা ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন আগামী ৬ মাসেই স্বাস্থ্য বিষয়ে অনেক উন্নতি সাধন হবে। সমস্ত বিধায়করা রয়েছেন তার সাথে। যদিও উনার ডানে ও বামে তখন তিপ্রা মথার একজন বিধায়ক এবং একজন এমডিসি ছিলেন। যদিও তিনি একজন বিজেপি সাংসদ।
এদিকে দিশা বৈঠক শেষে বিজেপি সাংসদ কৃতী সিং দেববর্মা খোয়াই রামচন্দ্রঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে অবস্থিত মহারাজা বীরবিক্রম মাণিক্য বাহাদুর এবং মহারাণী কাঞ্চন প্রভা দেবী’র মর্মর মুর্তির সামনে সময় কাটান। সঙ্গে ছিলেন তিপ্রা মথা পার্টির নেতৃত্বরা।