অসম বিধানসভায় বিজেপি ও বিরোধীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাকযুদ্ধ, কিছুক্ষণের জন্য মুলতবি অধিবেশন

গুয়াহাটি, ৫ মাৰ্চ (হি.স.) : আজ বুধবার অসম বিধানসভায় দুটি বিতর্কিত শব্দের ব্যবহারকে কেন্দ্ৰ করে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং বিরোধীদের মধ্যে প্রচণ্ড বাকযুদ্ধ শুরু হয়। যার ফলে কিছুক্ষণের জন্য অধিবেশন মুলতবি করতে হয়েছে অধ্যক্ষকে।

প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস কর্তৃক বরখাস্ত বাঘবরের বিধায়ক শেরমান আলি আহমেদ বরপেটা জেলার আলোপতির মহকুমা কৃষি দফতর সম্পর্কিত একটি বিষয় উত্থাপন করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে, তিনি কর্মকর্তাদের দেওয়া ‘বিভ্রান্তিকর উত্তর’কে একটি নির্দিষ্ট আপত্তিকর শব্দের সাথে তুলনা করেন।

বিজেপি বিধায়ক রূপজ্যোতি কুর্মি তাঁর নির্দিষ্ট শব্দ সম্পর্কে আপত্তি করেন। এ নিয়ে কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডা হয়। ফলে স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারি শব্দটি বাতিল করে দেন।

প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হওয়ার পর বিধায়ক রূপজ্যোতি কুর্মি আবারও বিষয়টি উত্থাপন করে জিজ্ঞাসা করেন, আহমেদ কি কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সদস্য বলেই এটা বলেছেন? কোনও এক সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক রাজ্যের বাংলাভাষী মুসলমানদের জন্য ব্যবহৃত একটি আপত্তিকর শব্দ উচ্চারণ করেন।

এতে সমস্ত বিরোধী দল কংগ্রেস, এআইইউডিএফ, সিপিআই(এম) এবং রাইজর দলের বিধায়করা রূজ্যোতি কুর্মির ব্যবহৃত শব্দের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। স্পিকার তৎক্ষণাৎ শব্দটি বাতিল করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু তাতে বিরোধী বিধায়কদের শান্ত করা যায়নি। ফলে অধ্যক্ষ দৈমারি ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশেন মুলতবি করতে বাধ্য হন।

১৫ মিনিটে পর অধিবেশন শুরু হওয়ার সাথে সাথে শেরমান আলি আহমেদ আবার রূজ্যোতি কুর্মির উচ্চারিত বিষয়টি উত্থাপন করে তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেন।

বিরোধী কংগ্রেসের দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া বলেন, ‘এটি একটি বর্ণবাদী শব্দ। একজন বিধায়ক কীভাবে একটি সম্পূর্ণ সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে এমন শব্দ ব্যবহার করতে পারেন? এর তীব্র নিন্দা করা উচিত।’

বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলগুলি যখন বিক্ষোভের নামে হই-হট্টগোল বিশৃঙ্খলা অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন উপাধ্যক্ষ ডা. নোমাল মোমিন শব্দ দুটি সহ সমস্ত বক্তব্য কার্যক্রমণিকা থেকে বাদ দেন। এর পর অবশ্য সদদনের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *