গুয়াহাটি, ৪ মাৰ্চ (হি.স.) : অসম বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের আজ মঙ্গলবার ষষ্ঠ দিনের প্রশ্নোত্তর পর্বে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ‘অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’ (এআইইউডিএফ)-এর বিধায়ক আশরাফুল হুসেনকে এক ঘণ্টার জন্য সদন থেকে বরখাস্ত করেছেন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি।
আজ সদনে বিধানসভায় প্ৰশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন বিধায়ক আশরাফুল হুসেন লাগাতার শৃঙ্খলাভঙ্গ করছিলেন। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি তাঁকে বার বার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ জানাচ্ছিলেন। কোনও অনুরোধই ধোঁপে টিঁকছিল না, তিনি লাগাতার হাউসের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে চলেছিলেন। তখন আশরাফুলকে সতর্ক করেন অধ্যক্ষ। এতেও কোনও কাজ না হওযায় তাঁকে এক ঘণ্টার জন্য সদন থেকে বরখাস্ত করে বাইরে পাঠিয়ে দেন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ।
বিরোধীরা তখন সদন থেকে বিধায়ক আশরাফুল হুসেনকে বরখাস্ত করায় অসন্তোষ প্রকাশ করে একে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বলে অভিযোগ তুলেন। বিরোধী বিধায়কদের বক্তব্য, বাংলাভাষী মুসলমানদের (পূর্ববঙ্গীয় মুসলমান, অসমে যাঁদের মিয়াঁ বলা হয়) বিষয়ে মন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বাংলাভাষী মুসলমানদের বিরুদ্ধে কথিত মন্তব্যের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশোক সিংঘলের বিরুদ্ধে বিশেষাধিকার লঙ্ঘনের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা।
বিধায়ক আশরাফুল হুসেনের দাবি ছিল, সম্প্রতি তাঁর নির্বাচনী এলাকা ঢেকিয়াজুলিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশোক সিংঘল বলেছিলেন বাংলাভাষী মুসলমান, যাঁদেরকে ‘মিয়াঁ’ বলা হয়, তাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। আশরাফুল বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে স্পষ্ট করেছেন, তিনি নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে অপছন্দ করেন। তাই তাঁকে মন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করা উচিত। আর যদি তা না হয়, তা-হলে অবশ্যই তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।’
এদিকে এ সব অভিযোগের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা বলেন, সৰ্বাবস্থায় সদনের মর্যাদা বজায় রাখা প্রয়োজন, শৃঙ্খলাভঙ্গ সহ্য করা হবে না।
প্ৰসঙ্গত, বাজেট অধিবেশনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোচনা চলছিল। বিরোধীরা তখন বিভিন্ন নীতি নিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছিলেন।