আগরতলা, ২০ ফেব্রুয়ারি : ত্রিপুরাকে বাংলাদেশের সাথে অভ্যন্তরীণ নৌপথে যুক্ত করার উদ্দেশ্যে গোমতী নদীতে ড্রেজিং শুরু হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন পথ খোলার উদ্দেশ্যে এই প্রকল্পটি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সময়ে অনুমোদিত হয়েছিল।
মাতাবাড়ি বিধানসভার বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন, “এই রুটটি ত্রিপুরাকে বিশ্বের অভ্যন্তরীণ নৌপথ সংযোগের মানচিত্রে স্থাপন করতে সহায়ক হবে। রাজ্যটি বাংলাদেশের সঙ্গে এবং পরবর্তীতে কলকাতার সঙ্গে নৌপথে সংযুক্ত হবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথ পরিবহণ সম্ভব করতে যে পরিকাঠামো উন্নয়ন চলছে তা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।”
তিনি আরও জানান, গোমতী নদীতে ড্রেজিং এক মাস আগে শুরু হয়েছে। “বর্তমানে মহারাণী এলাকা থেকে ড্রেজিং হচ্ছে। এটি ধিরে ধিরে সীপাহিজলা জেলার সোনামুড়া পর্যন্ত করা হবে। কারণ ওই এলাকা দিয়েই সীমান্তবর্তী নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ৫৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ড্রেজিং প্রকল্পের জন্য ১৯.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আমরা আশা করছি, পুরো কাজ এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। নদী রুটটি বাংলাদেশে দাউদকান্দি পর্যন্ত বিস্তৃত হবে,” বিধায়ক উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, এই নদী রুটটি ২০২০ সালে ইন্দো-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। “ড্রেজিং শেষ হলে, ছোট জাহাজগুলি ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশ এবং কলকাতার মধ্যে চলাচল করতে পারবে। পরিবহণ খরচ অনেকটাই কমে যাবে এবং সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য এটি একটি লাভজনক প্রকল্প হবে,” তিনি বলেন।
বিরোধীদের সমালোচনায় তিনি বলেন, বিরোধীরা এই প্রকল্পটিকে প্রথমে অযৌক্তিক বলে সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু যখন এটি বাস্তবায়িত হবে, তখন তাদের মুখ দেখতে চাই, কটাক্ষ করেন তিনি। এদিকে, গোমতী নদীতে ড্রেজিং সম্পূর্ণ হলে বন্যা মোকাবিলা এবং সেচ ব্যবস্থায় যথেষ্ঠ উপকার হবে, এমনটাই আশাবাদী ত্রিপুরা সরকার।