বাম ও বিজেপির কর্মচারী সংগঠনকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): মঙ্গলবার বিধানসভায় বাজেট বক্তৃতায় নাম না করে বাম ও বিজেপির কর্মচারী সংগঠনকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এপ্রিল থেকে বর্ধিত ডিএ হারে বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে তারপরেও কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ফারাক প্রায় ৩৫ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ রাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা মাঝে মাঝে নাটক করে সরকারি (রাজ্য) কর্মচারীদের মাথা খারাপ করেন তাদের জন্য বলছি। সিপিএম আমলে ডিএ দেওয়া হয়েছে ৩৫ শতাংশ। সেখানে ২০১১ সাল থেকে ডিএ বাবদ ২০২৫/২৬ সাল পর্যন্ত সরকারের খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ২ লক্ষ কোটি টাকা।”

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, ১৪ বছরে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাবদ রাজ্যের কত অর্থ খরচ হয়, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও তিনি কিন্তু রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের যথাসাধ্য ডিএ দিয়ে থাকেন।

পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মেয়াদে। বাম জমানায় বেতন কাঠামো নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ-অসন্তোষ ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর পে কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর তা কার্যকরী হয়। অর্থাৎ ওই সময় একলপ্তে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বিরাট পরিমাণ বৃদ্ধি হয়েছে। তারপরে ষষ্ঠ পে কমিশনে রাজ্যের কর্মচারীরা এখন ১৪ শতাংশ ডিএ পান। এপ্রিল থেকে তা ১৮ শতাংশ হবে।

কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ ফারাক নিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলাও চলছে। এ প্রসঙ্গে আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের মত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রের হারে মহার্ঘভাতা দিতে বাধ্য নয় রাজ্য। কারও না পোষালে তিনি কেন্দ্রের চাকরি খুঁজে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *