আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারী : দিল্লিতে ঐতিহাসিক জয় হয়েছে বিজেপির। গত ২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে বিজেপি। আজ দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই বাজনা নিয়ে বিজেপি কর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন। আবির খেলা এবং বাজি পুড়ানো শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। দিল্লির বিরাট জয়কে কেন্দ্র করে বিজেপি আগরতলায় বিজয় মিছিল করেছে।
এদিনের মিছিলটও বিজেপির সদর কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে আগরতলার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করেছে। গেরুয়া আবিরে আজ রাজপথ রঙিন হয়ে গেছে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নিয়ে বিজেপি কার্যকর্তারা সুবিশাল মিছিলে হেঁটেছেন। তাছাড়া, এদিনের মিছিলে হেঁটেছেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা, মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধায়ক তথা আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পাপিয়া দত্ত সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, দিল্লি ভোটের ফলাফল প্রত্যাশিত ছিল। দেশের মানুষ জানেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ কিভাবে এগিয়ে চলছে। তিনি যেভাবে মানুষের জন্য কাজ করছেন, যেভাবে গরীব মানুষের কল্যাণে চিন্তাভাবনা করছেন এবং প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য চিন্তাভাবনা করছেন – সেটারই প্রতিফলন দিল্লির ভোটের ফলাফল। আর এটাই হওয়ার ছিল। এতদিন দিল্লির আপ সরকারকে প্রত্যক্ষ করেছে মানুষ। কতটুকু দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল তারা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন অনেকদিন বাদেই দিল্লিতে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার পুন:প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এজন্য আমি সেখানকার মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি ধন্যবাদ জানাই যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তাঁর কারণেই এই জয় সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর বাদে দেশের রাজধানী দিল্লিতে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ১৯৯৮ সালে শেষ বারের মতো দিল্লির মসনদে আসীন ছিল বিজেপি। শেষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ছিলেন সুষমা স্বরাজ। এরপরই দিল্লির ক্ষমতায় পালা করে আসে কংগ্রেস ও আপ।
এদিকে,দিল্লিতে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ে মোহনপুর মন্ডলের উদ্যোগে বিজয় মিছিলের বের করা হয়েছে। এদিনের বিজয় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ সহ অন্যানারা। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, দিল্লির জয় থেকে রাজ্যের বিরোধীদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ, মানুষকে বিভ্রান্ত করে কোনো নির্বাচনে জেতা যায়না।আবারো তা প্রমাণিত হয়েছে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির তাবড়-তাবড় নেতা মন্ত্রীরা হেরেছেন। বললেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ