আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারী : জৈব পদ্ধতিতে ত্রিপুরায় উৎপাদিত কালিখাসা, হরিনারায়ণ এবং কালো চাল বাজারজাতকরণ করা হয়েছে। যার মূল্য ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। রাজ্যের কৃষকরা দারুণভাবে লাভবান হবেন। আজ বাজারজাতকরণ অনুষ্ঠানে এমনটাই অভিমত প্রকাশ করলেন কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ।
এদিন তিনি বলেন ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ অর্গানিকস লিমিটেড, নতুন দিল্লি সর্বতোভাবে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। গত মাসেই নয়া দিল্লির এই সংস্থার সঙ্গে রাজ্য কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের চুক্তি হয় । আজ তাদের মাধ্যমেই রাজ্যের কৃষকদের পূর্ব পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসল প্রথম বাজারে যায়। তাঁর বিশ্বাস, এতে রাজ্যের কৃষকরা দারুণভাবে লাভবান হবেন।
এদিন তিনি আরও বলেন, জৈব চাষ: মিশন অর্গানিক ভেলু চেইন ডেভেলপমেন্ট ফর নর্থ ইস্টার্ন রিজিওন
উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে জৈব চাষের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের ডোনার মন্ত্রালয় ২০১৫-১৬ সাল থেকে “মিশন অর্গানিক ভেলু চেইন ডেভেলাপমেন্ট ফর নর্থ ইস্ট রিজিয়ন” প্রকল্পটি চালু করেন যা আমাদের রাজ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ থেকে রূপায়িত হয়ে আসছে।
বিষয়
তাঁর কথায়, এবছর থেকে আরও ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর এলাকায় জৈব চাষ সম্প্রসারণের এর কাজ চলছে যার জন্য আরও নতুন ১৩টি এফ পি সি গঠণের উদ্দেশে কাজ চলছে । তাছাড়া, ৫ টি সার্ভিস প্রোভাইডার যথা আইকোয়া, শীল বায়োটেক এবং সিমফেড, বায়োসার্ট ইন্টারন্যাশনাল এবং প্রকৃতি অর্গানিক জৈব চাষে কৃষকদের সহায়তার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে।
তাঁর দাবি, বর্তমানে রাজ্যে জৈব পদ্ধতিতে সুগন্ধি ধান, আনারস, গোল মরিচ, আদা, হলুদ, লঙ্কা, মিলেট , কালো চাল ইত্যাদি ফসলগুলির চাষাবাদ হচ্ছে। তাছাড়া, এখন পর্যন্ত জৈব চাষের মাধ্যমে ৩৭ মেঃ টন সুগন্ধি চালু, ১৩ মেঃ টন আদা, ৩১ মে. টন হলুদ , ৩৬২ মে: টন আনারস এবং ২০০০ কেজি বার্ডস আর চিল্লি রাজ্যে ও বহিঃরাজ্যে বিক্রি করা হয়েছে।
শ্রীনাথ বলেন, গত ১৭ জানুয়ারী সুস এগ্রি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট কোম্পানির মাধ্যমে ২০০০ কেজি ধান্না মরিচ গোমতী, দক্ষিণ ও ধালাই জেলার কৃষকের দারা উৎপাদিত ফসল বাজারযাত করা হয়েছে যার মূল্য ১১ লক্ষ টাকা। আজ ১০০০ কেজি কালিখাসা চাল গোমতী জেলা থেকে , ১০০০ কেজি হরিনারায়ণ খোয়াই জেলা থেকে এবং ১০০০ কেজি কালো চাল দক্ষিণ জেলা থেকে বাজারযাত করা হচ্ছে যার মূল্য ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।