কদমতলা থানাধীন পৃথক পৃথক দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুঃসাহসিক চুরিকান্ড

কদমতলা, ৫ ফেব্রুয়ারি : আবারো একই  সাথে চুরি কান্ড সংগঠিত হলো কদমতলা থানাধীন পৃথক পৃথক দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনার তদন্তে কদমতলা থানার পুলিশ। আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা সুমিতা ভট্টাচার্য উনার পিতা শিবদাস ভট্টাচার্য ও উনার মা রেখা ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পরে আসামের গৌহাটি স্বামীর বাড়িতে থাকেন। বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এক পরিবার ভাড়াটিয়া রেখে গেছেন। তিন থেকে চার মাস যাবৎ ভাড়াটিয়া চিত্তরঞ্জন দাস উনার স্ত্রী মনি দাস ওই বাড়িতে থাকছেন। গতকাল সন্ধ্যাবেলা চিত্তরঞ্জন দাস সহ  উনার স্ত্রী মনি দাস বিশেষ কাজে বাজারে চলে যান। বাড়িতে ফিরে এসে দেখতে পান চিত্তরঞ্জন দাস উনার মালিকের ঘরের পিছনের দরজা ভাঙ্গা। পরবর্তীতে তিনি খবর দেন এলাকার এই বাসিন্দা স্বপন আদিত্য সহ অন্যান্যদের।

পাড়া-প্রতিবেশী সহ উপস্থিত সকলে ওই বাড়িতে এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে বুঝতে পারেন চুরিকান্ড সংগঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে খবর দেওয়া হয় কদমতলা থানায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কদমতলা থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে সকলে  ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখতে পায় ঘরের ভিতরে থাকা বিভিন্ন আলমিরার লকার ভাঙ্গা রয়েছে। কাগজপত্র সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে ছড়ানো রয়েছে গোটা  ঘরের ভিতরে। গোটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করে ভাড়াটিয়া সহ উপস্থিত সকলের কাছ থেকে বয়ান লিপিবদ্ধ করে পুলিশ।

অপরদিকে কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাঁফাইটিলা ৩নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা জুয়েল আহমেদ উনার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিশেষ কাজে সন্ধ্যাবেলা ধর্মনগরে গিয়েছিলেন। ফাঁকা বাড়িতে চোরের দল হানা দিয়ে ঘরের মূল ফটকের তালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে থাকা তিনটি মোবাইল সহ অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।