নয়াদিল্লি, ২৬ নভেম্বর (হি.স.): বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ও জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার প্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ জানাল নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ধারাবাহিক আক্রমণের ঘটনার মধ্যে সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ও তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ বিশেষভাবে উদ্বেগজনক।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকারকে আমরা অনুরোধ করছি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষত হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করাও জরুরি।’
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, ধর্মীয় স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাগুলি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মতো হিন্দু ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে।
বাংলাদেশে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও জনপ্রিয় হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করতে হাজির হন ৫১ জন আইনজীবী। তবু শেষ পর্যন্ত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ইস্কনের বিশিষ্ট নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র আপত্তি জানিয়ে এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে হস্তক্ষেপের আবেদন করেছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনা সংঘ ইস্কন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশে একাধিক সমাবেশের নেতৃত্ব দেন। তিনি দাবি করেন যে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর হওয়া ‘নিপীড়নের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই সমাবেশগুলি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। বিশেষত গত অক্টোবরে চট্টগ্রামে একটি মিছিলের সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।