রাঁচি, ১৩ নভেম্বর (হি.স.): ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ৪৩টি আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ড. নেহা অরোরা জানিয়েছেন, বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৬৪.৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে রাঁচিতে ৫১.৫০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ভোটদান হয়েছে খারসাওয়ানে ৭৭.৩২ শতাংশ৷
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। ভোটদান পর্ব চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তবে ৯৫০টি স্পর্শকাতর বুথে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা। প্রথম দফার ভোটে ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টিতে ভোটগ্রহণ হয় এদিন। এই দফায় ভাগ্যপরীক্ষা হয় ৬৮৩ জন প্রার্থীর। মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৩৭ লক্ষ।
আগামী ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় দফায় বাকি ৩৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। গণনা আগামী ২৩ নভেম্বর। ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফার ভোটে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন (সরাইকেলা), তাঁর পুত্র বাবুলাল (ঘাটশিলা), দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— মধু কোড়ার স্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ গীতা কোড়া (জগনাথপুর) এবং অর্জুন মুন্ডার স্ত্রী মীরা (পোটকা)। বিজেপির আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের পুত্রবধূ পূর্ণিমা। উল্লেখযোগ্য কংগ্রেস প্রার্থী, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন আইপিএস অজয় কুমার (জামশেদপুর পূর্ব) এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভার সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর ওরাওঁ (লোহারদাগা)।
ঝাড়খণ্ডের ভোটদাতাদের গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ঝাড়খণ্ডের জনগণকে ভোটদানে উৎসাহিত করেন। এদিন ভোটগ্রহণ ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যেও উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়।