আগরতলা, ১৮ অক্টোবর।। রাজ্য সরকারের অধীনে ক্রীড়া দপ্তরে চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইভেন্টের পাশাপাশি হ্যান্ডবলের অন্তর্ভুক্তি করতে আর্জি জানিয়েছে হ্যান্ডবল প্লেয়ার্স এসোসিয়েশন। শুক্রবার দুপুরে ক্রীড়া দফতরের অধিকর্তা সকাশে এক ডেপুটেশনে মিলিত হয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়: যুববিষয়ক এবং ক্রীড়া দপ্তর থেকে যে চাকরীর ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য যে নোটিফিকেশন বের হয়েছে, সেখানে হ্যান্ডবল একটি প্রচলিত খেলা হওয়া সত্বেও হ্যান্ডবলের নাম লিপিবদ্ধ হয়নি। আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। মুখ্যমন্ত্রী স্পোর্টস ভেভলাপমেন্টের স্কিমে কিছুদিন আগে যে আরেকটি অর্ডার বের হয়েছে, তাতেও আমরা ত্রিপুরা হ্যান্ডবল খেলোয়াড়রা বঞ্চিত।
এমন অনেক খেলা আছে অলিম্পিক এসোসিয়েসনের অন্তর্ভুক্ত নয়, এন আই এস কোর্স করা নেই, সেগুলিকে সুযোগ দিচ্ছেন, তাতে আমরা কোন ওদের বিপক্ষে বলছি না।। আমাদের হ্যান্ডবল খেলোয়াড়বৃন্দ বি পিএড, এন আই এস শর্ট কোর্স এম্ পিএড করেছে। এখানেও আমরা বঞ্চিত। আমরা খেলোয়াড়বৃন্দ যে দপ্তরকে সঠিক বলে বিশ্বাস করে এসেছিলাম। সেই দপ্তরের কাছে আমাদের আবেদন জানাতে এসেছি, হ্যান্ডবল একটা খেলা। প্রতি বছর সাবজুনিয়র , জুনিয়র, সিনিয়র, প্রত্যেক দল পাঠানো হয়। কারন
আগামী সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের হ্যান্ডবল কর্মকর্তাগন সর্বদা স্বাগত জানায়। হ্যান্ডবল ময়দানে খেলোয়াড়বৃন্দ আসবে কেন? যদি ভবিষ্যতের চাকরী ক্ষেত্রে দপ্তরের হ্যান্ডবলের প্রতি সু_নজর না থাকে।প্রতিনিয়ত হ্যান্ডবলকে সু নজরে দেখা হচ্ছে না। স্কুল ন্যাশনাল হ্যান্ডবল খেলায় টিম পাঠানোর সময় আমরা বার বার দপ্তরের কড়া নাড়তে হয়। সর্বদা বঞ্চিত। আমাদের হ্যান্ডবল খেলোয়াড়বৃন্দ সুনামের সঙ্গে কাজ করছে, জেলা গুলিতে বিনা পারিশ্রমিকে সিনিয়র খেলোয়াড়বৃন্দ কাজ করে যাচ্ছে। খোয়াই, ধলাই, অমরপুর, বিলোনিয়া, উদয়পুর সকল জেলাতে হ্যান্ডবল খেলোয়াড়দের
উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। হ্যান্ডবলের জনপ্রিয়তা দপ্তর অবগত আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই এত অক্লান্ত পরিশ্রম করা সত্বেও আমাদের দপ্তরের দরজায় কড়া নাড়তে আসতে হলো ।
রাজ্য ও জাতীয় স্তরের খেলা ধূলায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের যথারীতি নিয়ম মেনে চাকরীর সুযোগ দিতে হবে, তবে অবশ্যই অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত স্পোর্টস গুলিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে।আমাদের ক্রীড়া দপ্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সর্ব্বোচ্চ বয়স সীমা ৪২ করা হউক।কারন দীর্ঘ দিন ধরে ক্রীড়া দপ্তরের কোন নিয়োগ নেই, সেই জন্য অনেক
সুযোগ্য খেলোয়াড়বৃন্দ বঞ্চিত হয়েছে।
সেই জন্য জাতীয়স্তরে অংশগ্রহণকারী , পদক অর্জন করেছিল যে সমস্ত খেলোয়াড়বৃন্দের কথা মাথায় রেখে , বয়সের সময়সীমা ৪২ করা হউক। বিভিন্ন দপ্তরের চাকরী প্রদানের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ পদে রাজ্যের যোগ্যতা সম্পন্ন খেলোয়াড়দের জন্য আসন সংরক্ষিত করা হলে , রাজ্যের ক্রীড়া জগতে খেলোয়াড়বৃন্দ মাঠমুখী হবে।
শারীরশিক্ষার উন্নতির জন্য এবং ত্রিপুরার খেলার মান উন্নয়নের জন্য কম পক্ষে ৫০০টি শারীরশিক্ষক / শারীরশিক্ষিকা পদ বৃদ্ধি করার আবেদন রইল।রাজ্যের কৃতী হ্যান্ডবল খেলোয়াড়দের স্পোর্টস কাউন্সিলের পরিচালিত বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে কোচ হিসাবে নিয়োগের ব্যাপারে হ্যান্ডবলকে প্রাধান্য দিতে হবে। সকলে ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে না, পারিবারিক এবং মেধার কারনে সঠিক মানে পড়াশুনা করতে পারেনা,ওরা দিনের পর দিন খেলাটাকে সঙ্গী
করে নিয়েছে , একটা বয়সের পর খাদ্য অন্বেষনের জন্য দপ্তরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। খেলোয়াড় বেকার থাকলে , সমাজ কলুষিত হবে তাই অনুরোধ ঐ ধরনের খেলোয়াড়দের দপ্তরের দৃষ্টিতে আনা প্রয়োজন। তাদের উপযুক্ত
ব্যবস্থা করা। ত্রিপুরা হ্যান্ডবল এ্যাসোসিয়েশন সারা বছর বেকার ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে কাজ করে এবং ন্যাশনাল টিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্লেয়ার তৈরি করে রাজ্যকে তার সুনামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ বছর যে হ্যান্ডবল ন্যাশনাল মিট হয়েছে তাতে আমাদের ত্রিপুরার বেস্ট অফ এইট নাম্বারে ত্রিপুরা টিম
বছরে ন্যাশনাল জুনিয়র , সাব জুনিয়র এবং সিনিয়র টিম পাঠানো হচ্ছে ত্রিপুরা থেকে এবং ত্রিপুরার প্লেয়াররা ওই ত্রিপুরার নাম উজ্জ্বল করছে সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।