হাওড়া, ৩ অক্টোবর (হি.স.): বৃহস্পতিবার গোধ্বজ স্থাপন ভারতযাত্রার দ্বাদশ দিনে হাওড়ার শঙ্করমঠে ধর্মীয় রীতি অনুসারে পূজার্চনার পর শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী মহারাজ “গোপ্রতিষ্ঠা ধ্বজ” (পতাকা) স্থাপন করেন। উল্লেখ্য, শঙ্করাচার্য মহারাজ গোমাতাকে রাষ্ট্রমাতা ঘোষণা করার জন্য ২২ সেপ্টেম্বর অযোধ্যাধামে পৌঁছে রামকোট প্রদক্ষিণ করে এই যাত্রা শুরু করেন। এই ঐতিহাসিক যাত্রায় উত্তর-পূর্বের প্রায় সব রাজ্যে গিয়ে গোপ্রতিষ্ঠা ধ্বজ প্রতিষ্ঠা স্থাপন করা হয়েছে। এই যাত্রা শুক্রবার হাওড়া থেকে জামশেদপুরে পৌঁছবে। আর শনিবার রাঁচিতে গোধ্বজ স্থাপন করা হবে।
জানা গেছে, এই ঐতিহাসিক যাত্রা বড় সাফল্য পেয়েছে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রর মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে গোমাতাকে রাষ্ট্রমাতা হিসাবে ঘোষণা করেছেন। শঙ্করাচার্য মহারাজের এই ঐতিহাসিক যাত্রার উদ্দেশ্য, ভারতে গোহত্যা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা এবং গোমাতাকে রাষ্ট্রমাতা হিসেবে ঘোষণা করা। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নবরাত্রির প্রথম দিনে হাওড়ার শঙ্করমঠে গোধ্বজ স্থাপন করা হয়।
শঙ্করাচার্য মহারাজ বলেন, গো গঙ্গা কৃপাকাঙ্ক্ষী গোপালমণি জির এই আন্দোলন অত্যন্ত পবিত্র, তাই এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে আমরা এই প্রচারে নিয়োজিত। যারা গরুকে শুধু দুধ বা মাংসের উৎস মনে করে তারা উভয়েই গরুর গুরুত্ব সম্পর্কে অজ্ঞ। তিনি বলেন, গোমাতা ছাড়া সব পূজা নিষ্ফল, ৩৩ কোটি দেবতার সেবাই গো সেবা। আমাদের ৩৩ কোটি দেবতার স্বরূপ গোমাতাকেই আমরা প্রথম খাদ্য উৎসর্গ করি। তিনি এও বলেন, ভগবানকে খুঁজতে হলে গো-সেবা কর, ভগবান বলেছেন- আমি সর্বদাই গরুর মাঝে বিচরণ করি।