মুডা জমি দুর্নীতি মামলা : সিদ্দারামাইয়ার আর্জি খারিজ, বিপাকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী

বেঙ্গালুরু, ২৪ সেপ্টেম্বর (হি.স.): মাইসুরু আর্বান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (মুডা)-র জমি বণ্টন দুর্নীতির মামলায় বিপাকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন কর্ণাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট। রাজ্যপালের সেই নির্দেশের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। আবেদনে তিনি জানান, সংবিধানের একাধিক ধারা না মেনেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি আরও জানান, রাজ্যপাল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আইনত দুর্বল, পদ্ধতিগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট। কর্ণাটক হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘রাজ্যপালের পদক্ষেপে কোনও ভুল নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।’ যার ফলে চাপে পড়লেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। কারণ রাজ্যপালের নির্দেশে মুডা জমি দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শুরু হওয়াতে আর কোনও বাধা রইল না। যদিও সিদ্দারামাইয়ার কাছে সুপ্রিম কোর্টের রাস্তা খোলা রয়েছে। পুরো ঘটনাটিকেই বিজেপি ও জেডিএসের চক্রান্ত বলে দাবি করে এসেছেন সিদ্দারামাইয়া। এই মামলার তদন্তে রাজ্যপালের নির্দেশ প্রসঙ্গে আগেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছেন গেহলট। কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে নয়, থাওয়ারচাঁদ গেহলটের ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা উচিত। বিচারের ক্ষেত্রে নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয় রাজ্যপালের।’মঙ্গলবার সিদ্দারামাইয়ার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্টের নাগপ্রসন্ন বেঞ্চ। মুডা কেলেঙ্কারিতে অভিযোগকারী টি জে আব্রাহামের আইনজীবী রঙ্গনাথ রেড্ডি বলেছেন, “কর্ণাটকের রাজ্যপালের অনুমোদনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত লোকায়ুক্তকে বিশেষ আদালতের সামনে নিয়ে আসা হবে এবং তারপরে আমরা ভাবব এটি সিবিআই অথবা অন্য কোনও তদন্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে কিনা।” কর্ণাটকের মন্ত্রী রামালিঙ্গা রেড্ডি বলেছেন, “আমাদের আইনের প্রতি আস্থা আছে। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর পাশে আছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *