বাঁকুড়া, ২৮ জুন (হি. স.) : স্কুলের মিড ডে মিলের রান্নায় কাঁকড়া বিছে পরিবেশিত হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গঙ্গাজলঘাঁটির লছমনপুরে।রান্নায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষজন। শুক্রবার দুপুরে গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।অভিযোগ মিড ডে মিলের ডালে একটি ৫ ইঞ্চি সাইজের লম্বা কাঁকড়া বিছে রান্না করা হয়েছিল এবং তা পড়ুয়াদের পাতে পড়ে। পড়ুয়ারা বিছা সহ ভাতের থালা প্রধান শিক্ষককে দেখালে তিনি ওই ছাত্রীটিকে ঘটনা চেপে যেতে বলেন।ততক্ষণে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের খাওয়া হয়ে গেছে। সপ্তম অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের খাওয়ার সময় ঘটে এই অঘটন। স্কুল থেকে খবর পৌঁছে যায় অভিভাবকদের কাছে। এরপরই স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান তারা। পরে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে প্রধান শিক্ষক সহ মিড ডে মিল রান্নার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
এক ছাত্রী বলেন, ভাত নেওয়ার পর ডালের সঙ্গে একটি বড় কাঁকড়া বিছা দেখে হেড স্যারের কাছে গিয়ে জানাই। তিনি আমাকে বলেন, কাউকে বলিস না। তোর ভাত ফেলে দে। এই কথা জানার পর অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এক অভিভাবক উত্তম মাজি বলেন, আমরা শিক্ষক মশাইদের উপর ভরসা করে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাই। কিন্তু এই যদি অবস্থা হয় তাহলে আমরা কোন ভরসায় ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবো।খাবারে কখনো টিকটিকি পড়ছে তো কখনো আস্ত কাঁকড়া বিছে। কাঁকড়া বিছে সহ মিড ডে মিলের খাবার পড়ুয়াদের পরিবেশনও করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র পান্ডা বলেন, আমার স্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৩১৫ জন পড়ুয়া মিড ডে মিলের জন্য নথিভুক্ত রয়েছে। এদিন ২৫৬ জন পড়ুয়ার জন্য রান্না হয়েছিল। রান্নার দিদিরা রোজ রান্না করেন। এখানে কোনো গাফিলতি বা উদাসীনতা ছিল না। জানার পর সব খাবার ফেলে দেওয়া হয়েছে। যে কজন পড়ুয়া খেয়ে ছিল তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কোনো পড়ুয়ার শরীরে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
লছমনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কালিপদ মাজি বলেন, ঘটনাটি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। যদি দেখা যায় পড়ুয়াদের মিড ডে মিল নিয়ে কোনো গাফিলতি রয়েছে তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কোনো অজুহাত শোনা হবে না।