করিমগঞ্জ (অসম) ২১ জুন (হি.স.) : শুক্রবার ১০ তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করা হয়েছে করিমগঞ্জে । এই উপলক্ষে করিমগঞ্জ জেলার মূল অনুষ্ঠান করিমগঞ্জের স্টিমারঘাট রোডস্থিত নীলমনি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পাশে থাকা আইডব্লুউএআই বা ভারতীয় অন্তর্দেশীয় জলপথ কর্তৃপক্ষের গুদাম প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় আয়ুষ মিশন দ্বারা আয়োজিত এবং করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য সমিতির সহযোগিতায় শুক্রবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে করিমগঞ্জের জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
এতে আসাম রাজ্যিক পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান মিশন রঞ্জন দাস, করিমগঞ্জ জেলা পরিষদের সিইও লক্ষীনন্দন শহরিয়া, অতিরিক্ত আয়ুক্ত রংবামন টেরন, স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক সুমনা নাইডিং, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিপিএম হানিফ মোহম্মদ কৌশর আলম, ডিএমই সুমন চৌধুরী, আয়ুষ বিভাগের জেলা নোডাল অফিসার জামাল আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি, অনুষ্ঠানে করিমগঞ্জের যোগাসন ট্রেনিং সেন্টার, মহর্ষি যোগা বিদ্যালয়, পতাঞ্জলি যোগা সমিতি ও নেতাজি ব্যায়াম সংঘের যোগা প্রশিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। এতে “নিজের ও সমাজের জন্য যোগাসন” এই থিম নিয়ে অনুষ্ঠিত যোগ দিবসের এই অনুষ্ঠানে সকাল ৭টা থেকে জেলা আয়ুক্ত সহ উপস্থিত সবাই যোগ প্রশিক্ষকদের তদারকিতে যোগাসনের বিভিন্ন আসন, মুদ্রা ইত্যাদির চর্চা করেন।
অনুষ্ঠানে জেলা আয়ুক্ত সুস্থ মন ও সবল শরীর গড়ে তোলার জন্য সবাইকে নিয়মিত যোগাভ্যাস করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি শরীর নিরোগ রাখতে যোগাসনের ভূমিকা অপরিসীম বলে বর্ণনা করেন। তাই তিনি যোগাভ্যাসের বার্তা সীমিত পরিসরে সীমাবদ্ধ না রেখে সমগ্র সমাজে ছড়িয়ে দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এদিনের অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে গত ১৬ জুন তারিখে জেলা গ্রন্থাগার ভবনে অনুষ্ঠিত যোগাসন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও শংসাপত্র প্রদান করা হয়। এতে এ গ্রুপে-প্রথম দেবজ্যোতি রায়, দ্বিতীয় সপ্তর্ষি দাস, তৃতীয় সমৃদ্ধি দাস। বি গ্রুপে-প্রথম পলক কুরি, দ্বিতীয় পূর্বা দাস, তৃতীয় কৃতিকা দাস। সি গ্রুপে-প্রথম তাপস নমঃশূদ্র, দ্বিতীয় বিজয়া তালাপত্র, তৃতীয় কুঞ্জমালা বর্মন এবং ডি গ্রুপে প্রথম সীমা মালাকারের হাতে শংসাপত্র ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।