নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ আগষ্ট৷৷ রাজধানীর চাঞ্চল্যকর দিলীপ ঘোষ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করল আদালত৷ সাজাপ্রাপ্তরা হল জগদীশ রবিদাস ওরফে ভাইয়া, ইয়াসিন মিয়া, নীহার রঞ্জন রায়, আবু সায়েদ ও প্রাণতোষ দাস৷ দুদিন আগে আদালতে রায় ঘোষণা দেওয়ার দিন আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যায় অন্যতম অভিযুক্ত দীপক মিয়া৷ এই ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে দীপক মিয়ার বিরুদ্ধে৷ এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মুজিবর রহমানসহ দুই জন পালিয়ে রয়েছেন৷ তাদের বিরুদ্ধে আদালত স্থায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রখেছে৷
রাজধানীতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর দিলীপ ঘোষ হত্যা মামলায় বুধবার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও তা হয়নি৷ বিচারক আদলতে অনুপস্থিত থাকায় রায় ঘোষণা হয়নি৷ পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছিল গত সোমবার৷ কিন্তু সেদিন এক আসামী আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর রায় ঘোষণা হয়নি৷ পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছিল বুধবার৷ সেই মোতাবেক এদিন পশ্চিম জেলা অতিরিক্ত জেলা জজ এই সাজা ঘোষণা দিয়েছেন৷
২০১৩ সালের নয় নভেম্বর আগরতলা শহরে নৃশংসভাবে খুন হন দিলীপ ঘোষ৷ রামনগর নয় নম্বর রোডের একটি ড্রেইন থেকে পুলিশ গৌতম দিলীপ ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার করে৷ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আগরতলা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়েছিল৷ মামলার নম্বর ৩৪৬/১৩৷ মামলাটি হয় ইউএস ৩০২/১৪৯/১২০ (বি) আইপিসি মোতাবেক৷ এখনও পর্যন্ত পুলিশের তদন্তে যা খবর আগরতলা পুর নিগমের নিগোসিয়েশন বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে দুই মাফিয়া গোষ্ঠীর রেশারেশিতে খুন হন দিলীপ ঘোষ৷ ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত চালিয়ে নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে দাখিল করে৷ তারা হলেন, আবু সাহেদ, ইয়াসিন মিয়া, প্রাণতোষ দাস, জগদীশ রবিদাস, নীহার রঞ্জন দাস, দিপক মিয়া, সুব্রত ঘোষ, মুজিবর রহমান এবং বলরাম রাজভর৷ পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও দুইজন মুজিবর ও বলরাম এখনও পলাতক৷ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ৷ দীর্ঘদিন জেলে রেখেই তাদের বিচার প্রক্রিয়া চলে৷ এর মধ্যে শারীরিক অসুস্থতার জন্য দীপক মিয়া এবং সুব্রত ঘোষকে জামিন দেওয়া হয়৷ এদিকে, সুব্রত পালিয়ে যায়৷ এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় মোট চল্লিশজন সাক্ষ্যদান করেন৷
2016-08-25