করিমগঞ্জ (অসম), ১৪ জুন (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার অন্তৰ্গত রাতাবাড়িতে দুই কোটি টাকার অচল দু-হাজারি নোট বদল করতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক ব্যাংক ম্যানেজার সহ ধরা পড়েছে সাত ব্যক্তি। ধৃতদের হাইলাকান্দিতে অবস্থিত কানাড়া ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার যশরাজ ডেকা, লোন অফিসার চিনলাল মৌন, হাইলাকান্দির জনৈক আনোয়ার হুসেন লস্কর, মহম্মদ শরিফুল আলম, বরপেটার রকিবুল হাসান, নলবাড়ির দ্বীপজ্যোতি বেজবরুয়া সহ আরেকজন। তার নামধাম জানা যায়নি। এর সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের ব্যবহৃত চার চাকার একটি বলেরো এবং একটি ওয়াগন-আর গাড়ি।
করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি চক্রের হাত থেকে বৃহস্পতিবার রাতে দুই কোটি টাকার দু-হাজারি অচল নোট বদল করে করতে নগদ সচল ৫০০ টাকা নোটের ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে রাতাবাড়ি বাজারে গিয়েছিল ধৃত ব্যাংকের ম্যানেজার সহ তার সাঙ্গোপাঙ্গরা।
গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে রাতাবাড়ি থানার পুলিশ অভিযানে নেমে রাতাবাড়ি বাজারে গিয়ে একটি বলেরো এবং একটি ওয়াগন-আর গাড়ি সমেত ওই সাতজনকে পাকড়াও করেছে। তবে দুই কোটির দু-হাজারি নোটের চক্রটিকে জালে তুলতে পুলিশ সক্ষম হয়নি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, একটি দুষ্ট চক্রের মাধ্যমে ধৃত কানাড়া ব্যাংকের হাইলাকান্দির ব্রাঞ্চ ম্যানেজার দুই কোটি টাকার দু-হাজারি অচল নোটগুলো ২৫ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে সচল নোট দেবেন বলে কথা ছিল। কিন্তু লেনদেনের আগেই পুলিশ পৌঁছে যাওয়ায় তাদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। পুলিশ ব্যাংক ম্যানেজার এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গদের হাত থেকে ৫০০ টাকার নোটের মোট ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু দু-হাজারি নোটের দুই কোটি টাকার চক্রটিকে ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ওই চক্রকে ধরতে জাল বিছিয়েছে।
এদিক ধৃতদের রাতভর রাতাবাড়ি থানায় টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ শুক্রবার করিমগঞ্জে এনে আদালতে পেশ করেছিল পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধৃত ব্যাংক ম্যানেজার সিন্ডিকেট গড়ে কমিশনের বিনিময়ে বহুদিন ধরে অচল টাকাকে সচল করার কাজে লিপ্ত ছিলেন। পুলিশ অবশ্য এই বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে।