BRAKING NEWS

রেমালের প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত, ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, উপযুক্ত সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ মে:
রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ১৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এই ত্রাণ শিবিরগুলিতে ৭৪৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন। তাছাড়া রেমালের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যে ৪৬৭টি গৃহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জানান, গত দু’দিনে রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। জলসম্পদ দপ্তর নদীগুলির জলস্তর ও বাঁধের উপর নজর রাখছে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, রেমালের প্রভাবে রাজ্যে বিশেষ করে কৃষি ও বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি উদ্ধার ও গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি চালিয়ে যেতে প্রতিনিয়ত কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১৫.৫ মিলিমিটার। ঊনকোটি জেলায় সর্বোচ্চ ২৫২.৪ মিলিমিটার এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় সর্বনিম্ন ১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে রেমালের প্রভাবে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, ফায়ার সার্ভিস, রাজ্য প্রশাসন, রাজস্ব দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তর প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী আরও জানান, অনেক জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ায় রাস্তা আটকে যায় এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসনের আধিকারিকগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *