কলকাতা, ৯ মে, (হি.স.): কাটল মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনের জট। বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
জানা গিয়েছে, গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর ওই কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হয়। ১৯৫১ সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কোন বিধায়কের ইস্তফা এবং মৃত্যুর কারণে কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হলে সেই কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরির দিন থেকে ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন সংগঠিত করিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা বাধ্যতামূলক।
কিন্তু সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর বছর খানেক ঘুরে গেলেও তেমনটা হয়নি। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে সাধন পাণ্ডে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরেই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে।
মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের হয়েছিল। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন কল্যাণ। কারণ তিনি হাই কোর্টে মামলা করলেও শুনানিতে বার বার মুলতবি চাইছিলেন। আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। হাই কোর্টকে নির্দেশ দেয়, দৈনিক শুনানি করে দ্রুত মামলার এর নিষ্পত্তি করতে হবে। ৩০ জুন সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
তারই মধ্যে গত ২৯ এপ্রিল, হাই কোর্টে দায়ের হওয়া ‘ইলেকশন পিটিশন’ প্রত্যাহারের আবেদন জানান কল্যাণের আইনজীবী। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কারণে তাঁর মক্কেল এই মামলা তুলে নিতে চান। তার প্রেক্ষিতেই চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করে আদালত। এর পর কল্যাণ চৌবের মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।