নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ মে: ভালোবেসে বিয়ে করে শেষ পরিণতি হলো মৃত্যু। মর্মান্তিক এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এক তরুণী গৃহবধূর। তরুণী গৃহবধূর নাম পূজা দাস(১৯)।
পারিবারিক অশান্তির জেরে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে মৃত গৃহবধুর পিতা দীপক দাসের কাছ থেকে জানা যায়। গত তিন থেকে চার বছর আগে প্রশাসনের অগোচরে ভালোবেসে রাজধানীর আড়ালিয়া এলাকার নাবালিকা পূজার সাথে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিল আমবাসার প্রলয় দেবনাথের।বিয়ের পর থেকেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে পরিবারের ঝামেলা লেগে থাকতো।
গত ১৬মে বাপের বাড়ি থেকে ঘুরে শশুর বাড়িতে যাওয়ার পর শাশুড়ি এবং স্বামীর সাথে বাপের বাড়িতে আসার বিষয় নিয়ে ঝগড়া বাধে গৃহবধুর সঙ্গে। তারপরেই অগ্নিদগ্ধ হয় গৃহবধূ পূজা। তারপর গৃহবধূকে নিয়ে যাওয়া হয় কুলাই হাসপাতালে। চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে না উঠায় রেফার করা হয় জিবি হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি পূজার। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হার মেনে যায় পূজা।
বৃহস্পতিবার মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর পূজার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মেয়েহারা পিতা দীপক দাস অভিযুক্ত স্বামী প্রলয় দেবনাথ এবং অভিযুক্ত শাশুড়ি প্রভাতী দেবনাথের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। এদিকে মৃত গৃহবধুর শাশুড়ি প্রভাতী দেবনাথের দাবি পুত্রবধূ অগ্নিদগ্ধ হওয়ার সময় তিনি বাজারে ছিলেন, এবং উনার ছেলেও কাজের জন্য বাড়িতে ছিলেন না।