আগরতলা, ৬ এপ্রিল : আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যদি বিজেপি কৌশল করে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরে আসে তাহলে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করবে। তাই বিজেপিকে পরাস্ত করার জন্য আওয়াজ উঠেছে। আজ ইন্ডি জোটের প্রার্থী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহার সমর্থনে বনকুমারী বাজারে নির্বাচনী সমাবেশে এভাবেই জনগণকে বিজেপির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
এদিন তিনি বলেন, সংবিধানে নাগরিকত্ব পেতে গেলে ধর্ম গ্রহণ করতে হবে তা লেখা নেই। ধর্ম গ্রহণ না করলে নাগরিকত্ব হারাতে হবে। এটা ভুল। রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম হতে পারে না। সমস্ত ধর্ম রাষ্ট্রের চোখে সমান। বিশেষ কোনো ধর্মের প্রতি রাষ্ট্র কিংবা রাষ্ট্র নেতৃত্ব অনুরাগ দেখাতে পারবেন না।
তাহলে দেশে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন লাগু করেছে কেন বলে প্রশ্ন করেছেন। ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে ভাগ করে দিতে চাইছে আরএসএস পরিচালিত এদেশের বিজেপি সরকার।
তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় জঙ্গলের শাসন চলছে। মায়েরা বোনেরা যারা আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ তাদের মামলা নিচ্ছে না। পুলিশ বিজেপির মন্ডলের ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছে। প্রতিদিন রাস্তায় লাশ পড়ে থাকছে। গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ জনমুখী সরকার, বিকল্প সরকার গঠন করার চেষ্টা করুন। দেশের মধ্যে ফ্যাসিজম চলছে। ফ্যাসিস্ট কায়দায় কালো আইন তৈরি করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিন তিনি জোর গলায় বলেন, ত্রিপুরায় প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল কম ভোট পেয়েও সরকারের মসনদে বসতে পেরেছে। বিজেপি সরকার ভয় পেয়েছে তাই তারা অগণতান্ত্রিক কায়দা অনুসরণ করছে। জনগণের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
এদিন তিনি আরও বলেন, ইডি, সিবিআই ও নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা আজ বিপন্ন। সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।

