লাখপতি বাইদেউ’ প্রকল্পে আবেদনকারিণীদের কাছ থেকে কমিশন আদায়ের অভিযোগ ডিমা হাসাওয়ে

হাফলং (অসম), ১৪ মাৰ্চ (হি.স.) : মহিলাদের জন্য ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা উদ্যোমিতা’ অভিযানের অধীনে ‘লাখপতি বাইদেউ’ (লাখপতি দিদি) নামে এক প্রকল্প শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের অধীনে মহিলাদের ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য। কিন্তু সরকার পরিচালিত এই প্রকল্পে ডিমা হাসাও জেলায় দুর্নীতি সংগঠিত হচ্ছে বলে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।

অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ের শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত উমরাংসোতে এই প্রকল্পের আবেদনকারিণীদের কাছ থেকে প্রপত্র পূরণ করার জন্য ২০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উমরাংসোতে লাখপতি দিদি নামের এই প্রকল্পের জন্য একটি অস্থায়ী সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ওই সহায়তা কেন্দ্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে প্রপত্র পূরণ করে দেওয়ার নামে। উমরাংসোর অস্থায়ী সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীরা আবেদনকারিণী মহিলাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অনেক মহিলা অভিযোগ করেছেন।

এই প্রকল্পের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেছিলেন, এই ‘লাখপতি বাইদেউ’ প্রকল্পের জন্য যাঁরা আবেদন করবেন তাঁরা প্রপত্র সংগ্রহ করতে বা তা পূরণ করতে কোনও ধরনের টাকা যেন কাউকে না দেন। কিন্তু উমরাংসোতে এই প্রকল্পে আবেদনকারিণীদের কাছ থেকে প্রপত্র পূরণ করার পরিবর্তে একপ্রকার জোর করে ২০০ টাকা করে আদায় হচ্ছে।

উমরাংসোর আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর অনেক মহিলা জানিয়েছেন, কোনও আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর আট থেকে দশ জন সদস্য রয়েছেন। আর লাখপতি দিদি প্রকল্পে আবেদনকারিণী প্রত্যেক মহিলার কাছ থেকে ২০০ টাকা করে সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে। এ সম্পর্কে মুখ খুললে তাঁদের আবেদন বাতিল করে দেওয়া হবে বলেও নাকি ভয় দেখানো হচ্ছে।

এদিকে উমরাংসোর ওই আস্থায়ী সহায়তা কেন্দ্রের সহায়িকা তৃষ্ণা শর্মাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তাঁরা জোর করে টাকা নিচ্ছেন না, অনেক মহিলা স্বইচ্ছায় তাঁদের টাকা দিচ্ছেন। মহিলারা যখন নিজেই টাকা দিচ্ছেন, তাই তাঁরা তা নিচ্ছেন কারণ। এর কারণও তাঁরা ব্যাখ্যা করেছেন। বলেন, ‘আমাদের কোনও চাকরু নেই। তাই আমরা প্রপত্র পূরণ করার বিনিময়ে যাঁরা নিজের ইচ্ছায় টাকা দিচ্ছেন তাঁদের কাছ থেকেই টাকাগুলি নেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে অভিযোগকারিণী এক মহিলা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ম্যাসেজ দেওয়া হচ্ছে, সহায়তা কেন্দ্রে প্রপত্র পূরণ করার জন্য সবাইকে ২০০ টাকা করে দিতে হবে। এভাবে যে সব মহিলা ‘লাখপতি বাইদেউ’ প্রকল্পে আবেদন করতে আসছেন তাঁদের এভাবে প্রপত্র পূরণ করার নামে পকেট কাটছেন উমরাংসোর ওই অস্থায়ী সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীরা, অভিযোগ মহিলার।