বিলোনিয়ায় অনুষ্ঠিত শচীন দেব বর্মণের জন্ম দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিনিধি বিলোনিয়া, ১লা অক্টোবর : সুরের বাঁধনে আপামর মানুষকে যাঁরা বেঁধেছেন এবং নিজের যুগের তুলনায় অনেকাংশে আধুনিক ছিলেন এমন ব্যক্তিত্বদের মধ্যে শচীন দেববর্মন ছিলেন অন্যতম। আজ তাঁর ১১৭ তম জন্মদিবস, তাই আজ বিলোনিয়া বিকেআই শতবর্ষ ভবনে অনুষ্ঠিত হয় শচীন কর্তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর, শিক্ষা দপ্তর ও পুর পরিষদের যৌথ উদ্যোগে। এই দিনটি আজ বিলোনিয়া বিকেআই শতবর্ষ ভবনে বেলা একটায় পালিত হয় যথাযথ মর্যাদায়। ১লা অক্টোবর ১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দে তৎকালীন ত্রিপুরার অন্তর্গত কুমিল্লায় রাজপরিবারে জন্মগ্রহন করেন তিনি। বাংলা ও হিন্দী গানের কিংবদন্তী সঙ্গীত পরিচালক,  সুরকার, গায়ক ও লোকসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে শচীন দেববর্মন পরিচিতি লাভ করেছেন।  

 জীবনের প্রথম পর্বে রেডিওতে পল্লীগীতি গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯২৩ সালে আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে প্রথম তিনি গান গেয়েছেন। ১৯৩৪ সালে অল ইন্ডিয়া মিউজিক কনফারেন্সে গান গেয়ে তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বলিউডের সঙ্গীতমহলে শচীনকর্তা ঝড় তুলেছেন সঙ্গীতশিল্পী ও গীতিকার হিসেবে। অসংখ্য চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এস ডি বর্মন কন্ঠ দিয়েছেন এমন বেশ কিছু গানের আবেদন কোনদিন ফুরোবে না যেমন – ‘কে যাস রে,’ ‘নিশীথে যাইও ফুলবনে,’ ‘ বর্ণে গন্ধে ছন্দে’ প্রমুখ।

পিতা নবদ্বীপ চন্দ্রের কাছে তাঁর সঙ্গীত শিক্ষা শুরু।  শচীনকর্তার জীবন বিকশিত হওয়ার সুযোগ হয়েছিল কুমিল্লায় ইয়ং মেন্স ক্লাবের আড্ডায়।  সেখানে আসতেন গায়ক, চলচ্চিত্র পরিচালক, কবি প্রমুখ ব্যক্তিত্বরা। সেই আড্ডা থেকে ভেসে আসতো নজরুল ইসলাম ও শচীন কর্তার গান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বি এ,  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ করেন তিনি।  কলকাতা থেকে ১৯৪৪ সালে মুম্বাইয়ে পাকাপাকিভাবে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *