আগরতলা, ১৪ সেপ্টেম্বর,: সীমান্তের উভয় পাড়ের স্থানীয় জনগণের মধ্যে আস্থা অর্জনে এবং দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আরো বোঝাপড়া বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আজ বিএসএফ ও বিজিবি-র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে্
ভারত ও বাংলাদেশের দুই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পূর্বাঞ্চল এলাকার কমান্ডার স্তরের সম্মেলন আজ বাংলাদেশের চট্টগ্রামে শেষ হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন শুরু হয়েছিল। সম্মেলনেই মধ্য দিয়ে দুই বাহিনীর আঞ্চলিক স্তরের মধ্যে একটি যৌথ আলোচনা পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সম্মেলনে ছয় সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএসএফ মেঘালয় ফ্রন্টিয়ার এর প্রধান ইন্সপেক্টর জেনারেল প্রদীপ কুমার, আইপিএস | বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বি জি বি) এর দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, আঞ্চলিক কমান্ডার মোহাম্মদ শাজেদুর রহমান।
বি এস এফ এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সম্মেলনে সীমান্ত রক্ষা সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ নিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়; উভয় পক্ষ নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া এবং সহযোগিতার বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন । দুই দেশের সীমান্তকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গি তৎপরতা, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ, মাদক চোরাচালান ও সীমান্ত নিয়ম লঙ্ঘন নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এই সম্মেলনে।
এছাড়া বিবাদ বিতর্কের কারণে পরে থাকা পরিকাঠামো/উন্নয়ন মূলক কাজ গুলোর বাস্তবায়ন এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো বিষয় নিয়ে আলোচানা হয়েছে। সীমান্তের উভয় পাড়ের স্থানীয় জনগণের মধ্যে আস্থা অর্জনে এবং দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আরো বোঝাপড়া বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয় দুই বাহিনীর এই সম্মেলনে।
উভয় পক্ষের প্রতিনিধি রা বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত সমস্যাগুলোর সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় পক্ষই আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতির পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহমত পোষণ করেন। বন্ধুত্ব, পারস্পরিক আস্থার বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের দুই সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক নতুন মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও সম্মেলনে স্বীকার করেছেন দুই দেশের প্রতিনিধি দল। । প্রায় ৬ মাস পর পর দুই বাহিনীর মধ্যে এই আঞ্চলিক স্তরের সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমেও ব ন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমশ নতুন উচ্চতায় উঠছে বলে জানানো হয়। বি এস এফ এর আই জি প্রদীপ কুমার বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে অর্থবহ আলোচনা হয়েছে এবং যার মধ্য দিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে সফলভাবে সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
বি জি বি-র আঞ্চলিক মহা নির্দেশক শাজেদুর রহমান বলেন, সীমান্তে শান্তি রক্ষায় এবং দুই বাহিনীর মধ্যে নিবিড় সম্পর্কের পক্ষে কাজ করছে বি জি বি। উভয় পক্ষ স্বীকার করেন যে, কমান্ডার স্তরের এই সম্মেলন দুই পাড়ের সীমান্ত বিবাদ ও দ্বন্দ্বের নিরসনে যেমন এক ইতিবাচক পথ দেখিয়েছে, তেমনি পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করে চলেছে।