গুয়াহাটি, ৪ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : সুপারি মাফিয়ার কাছে ৫ কোটি টাকা দাবি, অনাদায়ে এনকাউন্টার মামলায় অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে বজালির বিদায়ী পুলিশ সুপার সিদ্ধাৰ্থ বুঢ়াগোহাঁইকে। এর আগে আজ ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে বজালির ডিএসপি (সদর) পুষ্কল গগৈকে। তিন দিনের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ নতুন করে এই দুই পদস্থ পুলিশ অফিসারকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তাদের নিয়ে এই মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১।
ইতিমধ্যে এই একই মামলায় গতকাল গ্রেফতার হয়েছেন বজালির সদ্যবিদায়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) গায়ত্রী সনোয়াল ও তাঁর স্বামী ববিসিং শর্মা, জেলার ভবানীপুর পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইনস্পেক্টর দেবজিৎ গিরি, পাটাসারকুচি থানার অ্যাসিসটেন্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) শশাঙ্ক দাস, এএসপি গায়ত্রী সনোয়ালের দেহরক্ষী এবিসি ইনাজামামুল হাসান, গাড়ি চালক দ্বিপজয় রায়, হোমগাৰ্ড নাবির আহমেদ এবং পাটাচারকুচির ওসি অনুপজ্যোতি পাটির। এছাড়া গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে সুপারি সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী মধ্যস্বত্বভোগী কিশোর বরুয়াকে। অভিযোগ, বজালির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রাক্তন) গায়ত্ৰী সনোয়ালের নাম করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের তোলা আদায় করত কিশোর।
গোটা সুপারি কেলেংকারির সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়লে প্রথমে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরে বদলি করা হয়েছিল বজালির পুলিশ সুপার (এসপি) সিদ্ধাৰ্থ বুঢ়াগোহাঁইকে। তার পর শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত প্রায় ৮:৩০টায় সিআইডির সদর দফতরে তলব করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বিভাগীয় আধিকারিকরা। শনি ও রবিবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আজ সকালে গুয়াহাটিতে সিআইডি সদর দফতরে যান ডিজিপি জ্ঞানেন্দ্ৰপ্ৰতাপ সিং। সেখানে তিনি প্রায় দু ঘণ্টা অবস্থান করে সুপারি মামলার বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখে বেরিয়ে আসার পর গ্রেফতার করা হয়েছে এসপি সিদ্ধাৰ্থ বুঢ়াগোহাঁইকে। তার আগে ভোরের দিকে গ্রেফতার করা হয় ডিএসপি (সদর) পুষ্কল গগৈকে।