ফুলো-ঝানুকে রুখে খেতাবের প্রত্যাশা জিইয়ে রাখলো ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল

ফুলো ঝানো-‌২                                                                                ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল-‌২

(‌জিমি,পখিলা)‌                                                                                             (মারিনা, প্রীথা‌)‌

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ আগস্ট।।জম্পুইজলা প্লে সেন্টারকে সুবিধে করে দিলো ফুলো ঝানো ও ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলের ড্র ম্যাচ। একটু ঘুরিয়ে বললে বলা যায় ফুলো ঝানুকে রুখে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল খেতাবের প্রত্যাশা জিইয়ে রেখেছে। তবে ম্যাচে বুধবার অনায়াসেই জয় পেত পারতো সুজিত ঘোষের ফুলো ঝানো দল। যদি না বেশ কয়েকটি সহজ গোলের সুযোগ হেলায় নষ্ট না করতে দিপালী হালাম-‌রা। রাজ্য ফুটবল সংস্থা আয়োজিত বৈকুন্ঠ নাথ স্মৃতি মহিলা ফুটবল লিগে। উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি শেষ হয় অমিমাংশিতভাবে। ফলাফল ২-‌২। অথচ দীর্ঘক্ষণ এগিয়ে ছিলো সুজিত ঘোষের দল। শেষ পর্যন্ত হার না মানসিকতা ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলকে ১ পয়েন্ট এনে দেন। আজ কিল্লা মর্ণিং ক্লাবকে হারাতে পারলেই খেতাবের দৌড়ে এগিয়ে যাবে বুদ্ধ দেববর্মা-‌র জম্পুইজলা প্লে সেন্টার। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমাত্তক ফুটবল খেলতে থাকে দু-‌দলের ফুটবলাররা। বল দখলের লড়াইয়ে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে শুরু থেকেই। আর তাতেই ম্যাচ জমে উঠে। ১৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলকে এগিয়ে দেয় মারিনা জমাতিয়া। গোল হজম করতেই পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ১ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরান জিমি মলশুম। ৩২ মিনিটে পখিলা বুরো-‌র গোলে এগিয়ে যায় ফুলো ঝানো দল। গোল হজম করতেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করে কল্পনা দেববর্মা-‌র ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলের মেয়েরা। বিরতীর পর আক্রমণের গতি আরও বাড়ে। ৭১ মিনিটে প্রীথা ত্রিপুরা দুর্দান্ত গোল করে সমতা ফেরান। এরপরও জয় পাওয়ার মতো সুযোগ পেয়েছিলো ফুলো ঝানো দল। মৌসুমী ওরাং, দিপালী হালাম এবং প্রখিলা-‌রা সহজ সুযোগ হেলায় নষ্ট করে দলকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় এনে দিতে পারেননি। খেলা পরিচালনা করেন পল্লব চক্রবর্তী। ম্যাচের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন ফুলো ঝানো দলের প্রখিসলা বুরো। সুপারে দুই ম্যাচ খেলে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলের পয়েন্ট ৪। অপরদিকে সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ফুলো ঝানো দলের পয়েন্ট ১।