কলকাতা, ৩০ জুলাই (হি.স.) : ফেসবুক পোস্টে এবং সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে কড়া মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। বুদ্ধবাবুকে ‘মহাপুরুষ’ না বানানোর আবেদন করেছেন তিনি। এমনকী বুদ্ধবাবু সম্পর্কেও কড়া সমালোচনা করেছেন কুনাল ঘোষ । তাঁর মন্তব্য নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বামফ্রন্টের জমানায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যখন মুখ্যমন্ত্রী তখন বিরোধী আসনে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মতাদর্শগত পার্থক্যের পাশাপাশি বুদ্ধবাবুর বহু কাজের সমালোচনা করা হতো। এই বিষয় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমি আরোগ্য কামনা করছি। কিন্তু যাঁরা তাঁকে আদিখ্যেতা করে মহাপুরুষ সাজাচ্ছেন, তার সঙ্গে একমত নই। কারণ বুদ্ধদেববাবুর জমানায় সিপিএম অনেক ভুল কাজ করেছে। তাছাড়া ওঁর ঔদ্ধত্যে বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত লাগলে যে সিপিএম–বিজেপি মিম বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ভরায় তাদের কাছ থেকে রুচি শিখব না। যা বলেছি বেশ করেছি।’
একটি ফেসবুক পোস্টও করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বুদ্ধবাবুর আরোগ্য আমিও চাই। উনি সুস্থ থাকুন। কিন্তু দয়া করে আদিখ্যেতার পোস্টে ওঁকে মহাপুরুষ বানাবেন না। উনি সিপিএম আর ওঁর ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভুলে বহু ক্ষতি হয়েছে।’
এদিকে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এখনও বুদ্ধবাবু সংকটমুক্ত নন। শ্বাসকষ্টের তীব্র সমস্যা নিয়ে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ, রবিবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী, বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্র–সহ অন্যান্যরা। তবে তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেলিফোনে বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা নিয়েয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এমন আবহে কুণালের সমালোচনা জোর চর্চিত হচ্ছে।
কুণালের পোস্টের পরই তীব্র সমালোচনা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আর যাই হোক বুদ্ধবাবুকে ‘চোর’ বলে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না।