নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জুলাই৷৷ স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগে ধর্নায় এক মহিলা৷ ঘটনা বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ঝালাই চৌমূনী এলাকায়৷১৬ জুলাই রবিবার বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত ঝালাই চৌমুহনি এলাকায় এক বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে এক মহিলা৷ জানা যায় ২০১৯ সালে তাদের অভিযোগ মুলে আদালত একটি রায় দেয় এবং সেখানে বলা হয় বৈবাহিক সম্পর্কের যে দাবি ওই মহিলা করেন তা প্রমাণিত হয়নি৷ তাদের মধ্যে কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক আছে বলে আদালত স্বীকৃতি দেয়নি৷ ফলে সে কোন অধিকারে,কি দাবির ভিত্তিতে ধারণায় বসেছে সেটা নিয়েই প্রশ্ণ৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় প্রায় ১২ বছর আগে পূর্ব বামুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেরিমুড়া গ্রামের সূত্রধর পাড়ার সুনীল সূত্রধরের মেয়ে জোনাকি সূত্রধরের সঙ্গে ভালোবেসে মন্দিরে গিয়ে পশ্চিম বামুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার ঝালাই চৌমূহনী এলাকার সনক কপালির বিয়ে হয়৷ এই দাবিতেই ধর্নায় মহিলা৷ ভালোবাসার বিয়ে বলে সনক কপালি তার স্ত্রী জোনাকি সুত্রধরকে বলে সনক কপালির মা এই বিয়েতে রাজি হচ্ছেন না৷ সেই কারণে তাকে সনকের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছেন না৷ এইভাবে কেটে গেল ১২টি বছর৷তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে ১১ বছরের৷ কিন্তু গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ খবর পায় যে সনক দ্বিতীয় বিয়ে করছে৷ এই খবর পেয়ে প্রথম স্ত্রী বিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয় এবং পরবর্তী সময় আজ রবিবার সনক কপালির বাড়িতে আসে প্রথম স্ত্রীর দাবিদার হয়ে৷ সনকের ভাই জয়দীপ কপালি, বোন বাসবী কপালি, মা কৃষ্ণা কপালি সহ বামুটিয়া মণ্ডলের এক নেত্রীও তাকে মারধর করার অভিযোগ করেন৷পুলিশকে ফোন করা হলে বামুটিয়া ফাঁড়ির পুলিশ আসেনি আক্রান্তকে উদ্ধার করতে৷পুলিশের বক্তব্য মামলা কোর্টে রয়েছে৷তাই পুলিশ কিছু করতে পারবে না৷ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়৷এই নিয়ে সনক কপালির পরিবারের দাবি যে মামলা শেষ হয়েছে৷ আদালতে তাদের বিয়ের কোন প্রামাণ্য তথ্য প্রমাণিত হয়নি৷
2023-07-16