ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর শারীরিক ও মানসিক হেনস্তা, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা, এবিভিপির বিক্ষোভে উত্তেজনা

আগরতলা, ২০ জুন (হি. স.) : ছাত্রীর শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার ঘটনায় এবিভিপির বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। নির্যাতিতার লিখিত অভিযোগে আমতলি থানা অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে। এবিভিপির দাবি, অভিযুক্ত অধ্যাপককে অবিলম্বে বরখাস্ত করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশ্বাস দিয়েছেন, তদন্ত কমিটি ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

সোমবার ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিষয়ের মৌখিক পরীক্ষায় চতুর্থ সেমিস্টারের জনৈক ছাত্রী শারীরিক এবং মানসিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-বিষয়ে এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক সঞ্জিত সাহা বলেন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ভুপেশ দেববর্মা জনৈক ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্তা করেছেন। দর্শনের মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন ওই ঘটনা ঘটেছে। তাতে, ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে, প্রথমে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক তাঁকে হাপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন। 

সঞ্জিতের বক্তব্য, ওই ঘটনায় উপাচার্যের কাছে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বরখাস্তের দাবি জানানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এবিভিপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। তিনি বলেন, ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। উপাচার্যের কাছে মেমোরেন্ডম জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত অধ্যাপক জঘন্য অপরাধ করে দিব্যি রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরাফেরা করছেন এবং ক্লাস নিচ্ছেন। যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই, তাঁর বরখাস্তের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। 

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গঙ্গা প্রসাদ প্রসেইন এবিভিপির বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেছেন। অপরাধ বরদাস্ত করা হবে, সেই আশ্বাস দিয়েছেন। তবে, তদন্ত কমিটির সম্মুখে সকলের বক্তব্য রেকর্ড করার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল রাতেই নির্যাতিতা ছাত্রী এবং তাঁর পরিবারের সাথে কথা বলেছি। ওই ঘটনা তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কমিটি উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনার পর পর্যবেক্ষণ দেবে এবং এরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নিয়ম রয়েছে। ফলে, তা মেনে চলতেই হবে। তবে, অপরাধ ক্ষমা করা হবে না। 

এদিকে, নির্যাতিতা ছাত্রীর লিখিত অভিযোগে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ভুপেশ দেববর্মার বিরুদ্ধে আমতলি থানার পুলিশ  ভারতীয় দন্ডবিধি ৩৫৪(এ) এবং ৫০৯ ধারায় মামলা নিয়েছে। তবে, এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কোন সংবাদ নেই। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *