ইসলামাবাদ, ২ জুন (হি. স.) দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে পাকিস্তানের । পাকিস্তানের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির যে তথ্য সামনে এসেছে তাতেই এই আশঙ্কা করা হচ্ছে । গত এক বছরে সেদেশের মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৩৭.৯৭ শতাংশ। পাকিস্তান পিছনে ফেলে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকেও। মে মাসে দ্বীপরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে ২৫.২ শতাংশে। দক্ষিণ এশিয়ার কোনও দেশেরই পরিস্থিতি পাকিস্তানের মতো খারাপ নয়।
প্রকাশিত তথ্য বলছে, মদ এবং সিগারেটের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ১২৩.৯৬ শতাংশ। পাশাপাশি বিনোদন ও সংস্কৃতি খাতে মুদ্রাস্ফীতি ৭২.১৭ শতাংশ। এদিকে পরিবহণের ক্ষেত্রে তা ৫২.৯২ শতাংশ। অপচনশীল খাদ্যের ক্ষেত্রে তা টপকে গিয়েছে ৫০ শতাংশকে। সব মিলিয়ে পরিসংখ্যান রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো।
উল্লেখ্য, ইমরান খান ও পাক সেনার মধ্যে চলতে থাকা টক্করের মধ্যে ক্রমেই পাকিস্তানের দেউলিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। কেননা সেদেশে প্রায় গৃহযুদ্ধের মতো আবহ এবং তাদের বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ না হওয়ায় প্রায় মুখ ফিরিয়েছে আইএমএফ। এহেন পরিস্থিতিতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার। এই পরিস্থিতিতে আইএমএফ পাকিস্তানের কাছে আরজি জানান, আগে দেশের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য।