কদমতলা সিডিপিও অফিসে ঘুঘুর বাসা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ মে৷৷  উত্তর জেলার কদমতলা সিডিপিও অফিসে ঘুঘুর বাসা৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের  শিশুদের জন্য মজুদ রাখা চাল ডাল নষ্ট হয়ে গেলেও সেগুলি কোন এক অজ্ঞাত কারণে বিতরণ করা হয়নি৷ ঘটনার সুষ্ঠু তন্ত্রের দাবি উঠেছে৷  উত্তর জেলার কদমতলায় সিডিপিও অফিসে কর্ম সংসৃকতি লাটে৷ এপ্রিল মাস থেকে অফিসে আসছেন না সিডিপিও অয়ন ভৌমিক৷ বাড়িতে বসেই   মর্জি মাফিক কাজ করছেন সিডিপিও৷ পাঁচ মাস ধরে বন্ধ   অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে মিড ডে মিল পরিষেবা৷ গোডাউনে চালডাল থাকা  সত্বেও অবহেলার কারণে তা দেওয়া হয়নি৷ ছাত্রছাত্রীদের   জন্য বরাদ্দকৃত প্রচুর সরকারী চালডাল নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে গোডাউনে৷ এই বিষয়ে কদমতলায় সিডিপিও অফিসে গিয়ে দেখা যায় এই দৃশ্য৷  বহু চেষ্টা করেও প্রথমে এর উত্তর পাওয়া যায়নি৷ পরবর্তীতে অফিসে দেখা পাওয়া যায় গোডাউন ইনচার্জ শ্রীবাস পালের৷ শ্রীবাস পালের উপস্থিতিতে গোডাউনে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে  চাল  সহ অন্যান্য সামগ্রী মজুত রয়েছে সেখানে৷ তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে গোডাউনে ৩৪৬৫৬ কেজি চাল মজুত রয়েছে৷গত ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ ডাল শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার গুলিতে মিড ডে মিল পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়ে৷ এখন ৫৮৫১ কেজি ডাল এসেছে৷ ২০ মে থেকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার গুলিতে চালডাল পাঠানো শুরু হয়েছে৷ এদিকে গোডাউন গিয়ে দেখা যায় বস্তা বন্দি বেশ কিছু চালডাল ত্রিপাল দিয়ে ডাকা রয়েছে৷ এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এগুলি নষ্ট হয়ে গেছে৷ গোডাউনে চালডাল থাকার পরেও কেন সেগুলি বিতরণ করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি এর জবাবে বলেন, বিগত দিনে রাজ্যে নির্বাচন থাকায় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে চালডাল না থাকায় এই ৩৪ বস্তা মিশ্রিত চালডাল দেওয়া যায়নি৷ সুতরাং ১৩৬০ কেজি চাল ডাল মিশ্রিত পচে নষ্ট হয়েছে গোডাউনে৷  গোডাউনে চালডাল মজুত  থাকা সত্ত্বেও কেন এগুলি শিশুদের দেওয়া হয়নি৷ এর কোন উত্তর পাওয়া যায়নি৷ এই বিষয়ে ঐ এলাকার বহু মানুষ অভিযোগ জানিয়েছেন, কদমতলায় সিডিপিও অফিস ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে৷ নিজেদের মর্জি মাফিক কাজ করা হচ্ছে সিডিপিও অফিসে৷ সঠিক নজরদারি নেই৷ ঘটনার  তদন্ত কবে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *