উগান্ডার রমনী পাচারকান্ডে তিনজনকে গ্রেপ্তার করল বিশালগড় থানার পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ মে৷৷ বিশালগড় থানার পুলিশ উগান্ডা রমনী পাচারকান্ডে তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে৷ তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি মারুতি গাড়ি উদ্ধার হয়েছে৷ অন্যান্যদের আটক করার জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে৷  কুখ্যাত তিন নারী পাচারকারীকে জালে তুলেছে বিশালগড় থানার পুলিশ৷ ধৃতরা হল আরাবুল রহমান, ইদ্দিশ মিয়া, মামন মিয়া৷ তাদের বাড়ি বিশালগড় রঘুনাথপুরে৷ গত ৪ মে আফ্রিকার উগান্ডা নিবাসী মহিলাকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করেছিলো পাচারচক্রটি৷ ত্রিপুরা ভ্রমণে আসা বিদেশিনীকে আগরতলা রেল স্টেশন থেকে এনে বিশালগড়ে আটকে রেখেছিল৷ মহিলা কোনক্রমে তাদের ঘেরাটোপ থেকে নিজেকে রক্ষা করে বিশালগড় থানায় আশ্রয় নেয়৷ মহিলার পাসপোর্ট ব্যাগ মোবাইল ফোন পাচারকারীদের হেফাজতে ছিল৷ বিশালগড় মহিলা থানা মহিলার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা গ্রহণ করে৷ মহিলা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে৷ মামলার তদন্তকারী অফিসার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল দাস তদন্ত শুরু করেন৷ তদন্তক্রমে অপরাধীদের চিহ্ণিত করে৷ অবশেষে শনিবার পাচারকান্ডে যুক্ত  তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ এদের কেউ পাচারকারী, কেউ আশ্রয়দাতা এবং কেউ পরিবহনে সহযোগিতা করে৷উগান্ডার  মহিলার পাসপোর্ট ব্যাগ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে৷ পাচার কাজে ব্যবহৃত মারুতি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷  সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র চৌধুরী জানান ,একটি পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে৷ আরও কিছু তথ্য আসছে৷ সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে৷ এসডিপিও রাহুল দাস জানান এটি একটি সংগঠিত চক্র৷ বাংলাদেশের দালালচক্রের সঙ্গে ওরা জড়িত৷ এই কাজে যুক্ত এবং সহযোগী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷চন্দ্রপুরে  কবরস্থান এবং শ্মশান ঘাট সংস্কার করা হবে৷ নদীর ভাঙ্গনে জমে অনেকটাই কমে গেছে৷ ডিমারগেশন করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মজুমদার৷ রবিবার এলাকার কপর্োরেশন সহ বিজেপির পথের সভাপতি থেকে সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *