প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাছে ঈশ্বরের মত, পুলিশি জেরায় দাবি হুব্বালির কিশোরের

হুব্বালি, ১২ জানুয়ারি (হি.স.): বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের হুব্বালিতে নিরাপত্তা বলয় ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চলে আসা কিশোর প্রধানমন্ত্রীকে ঈশ্বরের মত মনে করে । পুলিশি জেরায় নিজেকে নরেন্দ্র মোদীর অনুরাগী বলে দাবি এমনটাই জানিয়েছে কুণাল ধোনগাড়ি নামের ষষ্ট শ্রেণীর ওই পড়ুয়া। যদিও এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই ওই কিশোরের পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীতে ‘জাতীয় যুব উৎসব’-র সূচনার জন্য বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের হুব্বালিতে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। ‘জাতীয় যুব উৎসব’-র সূচনার আগে হুব্বালিতে রোড-শো করেন মোদী। তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য রাস্তার দু’ধারে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন। এমন একটা সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে তাঁকে মালা দিতে গেলে নিরাপত্তা আধিকারিকরা তাকে টেনে সরিয়ে নেন। মোদী অবশ্য ওই মালা নেন। ততক্ষণে ওই তরুণকে রাস্তার ধারে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ জেরা করে ওই কিশোরকে । নিরাপত্তার ফাঁক গলে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির সামনে চলে আসায় কেবল কুণাল নয়, তার পরিবারের সদস্যদেরও পুলিশ, এমনকি বিজেপি নেতাদেরও জেরার মুখে পড়তে হয়েছে।

পুলিশি জেরায় ওই ছাত্র আরও জানিয়েছে, তার বাড়ির কাছ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রোড শোয়ের খবর পেয়েই সে পরিবারের সদস্যদের জানায়। তারপর কাকা, ভাইপো, দাদুর সঙ্গে সে ওই রোড শো দেখতে যায়। কুণালের কথায়, “আমরা চেয়েছিলাম, কাকার আড়াই বছরের ছেলেকে আরএসএস-এর পোশাক পরে তাঁকে মালা পরাবে। কিন্তু, তিনি আমাদের দিকে দেখেননি। গাড়ি চলে যাচ্ছিল। তখনই আমি ব্যারিকেডের ফাঁক গলে মালা নিয়ে গাড়ির সামনে দৌড়ে যাই।”

জবাবে কুণাল বলে, “আমি মোদীর বড় অনুরাগী। তিনি খুব ভাল মানুষ, ভগবানের মত। আমি খুব খুশি যে, তাঁকে আমি মালা দিতে পেরেছি এবং খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছি।”

উল্লেখ্য, খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বিষয়টি নিয়ে কুণালের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও তাঁদের উপর এখনও পর্যন্ত কোনও কোপ নেমে আসেনি। সেকথা জানিয়ে কুণালের দাদু বলেন, “প্রহ্লাদ যোশী স্যর (কেন্দ্রীয় মন্ত্রী) এবং অন্যান্য সিনিয়র বিজেপি নেতারা আমাদের পুলিশি তদন্তে সাহায্য করতে বলেন এবং প্রকৃত বিজেপি ও মোদী সমর্থকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না বলে তাঁরা নিশ্চিত করেছেন। আমরাও বুঝতে পেরেছি যে, ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত এবং পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করেছি।”