আগরতলা, ১০ জানুয়ারী(হি. স.) : ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার সাড়ে চার বছরে উন্নয়নের ভিত তৈরি করেছে। আগামী পাঁচ বছরে তাঁর পরিণাম দেখা যাবে। আজ মঙ্গলবার ত্রিপুরায় সিপাহিজলা জেলায় চড়িলামে বিজেপির জনবিশ্বাস যাত্রা উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় একথা বলেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তাঁর কথায়, দেশে কংগ্রেসের জমানায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল নানাভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এই অঞ্চলে উন্নয়ন গতি পেয়েছে।
এদিন তিনি বলেন, কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিজেপি প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ, সর্বত্রই কংগ্রেস এবং ত্রিপুরায় সিপিএমের রাজত্ব ছিল। কিন্তু, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে সরকার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলেরও ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছে। তেমনি, ত্রিপুরায় গত সাড়ে চার বছরে পরিবর্তন আমার বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রত্যয়ের সুরে বলেন তিনি।
তাঁর কথায়, বিজেপি সংসদে বিরোধী থাকাকালীন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য চিত্কার করেছি। সংসদের ভেতরে এবং বাইরে আওয়াজ তুলেছি। কিন্তু, সংসদে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব অতি সামান্য হওয়ায় কেন্দ্রের শাসক আমাদের আওয়াজ কানে তুলতেন না। তাঁরা আমাদের দিকে মনোযোগ দিতেন না। কিন্তু, এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চল সারা দেশের তুলনায় অধিক গতিতে এগিয়ে চলেছে।
তাঁর দাবি, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়েছিলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এগিয়ে গেলেই দেশ এগুবে। তাই সমস্ত প্রকল্প প্রথমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছিলেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিরন্তর কাজ করে চলেছেন, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী এদিন ক্ষোভের সুরে বলেন, অতীতে উগ্রপন্থার জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিচিতি ছিল। পর্যটকরা এই অঞ্চলে আসতে ভয় পেতেন। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এখন উগ্রপন্থার সমাপ্তি হয়েছে। আফস্পা প্রত্যাহার সম্ভব হয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তনের ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে দুই দশকের অধিক সময়ের ব্রু শরণার্থী সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান হয়েছে।
তিনি আজ দৃঢ়তার সাথে বলেন, ত্রিপুরায় সাড়ে চার বছরে উন্নয়নের ভিত স্থাপন হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে তার পরিণাম দেখা যাবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই সরকারের সমন্বয়ে ত্রিপুরাও উন্নতির চরম শিখরে পৌছবে।

