দিল্লি কর্পোরেশনে মেয়র নির্বাচনকে ঘিরে তোলপাড়, আপ–বিজেপি কাউন্সিলরদের হাতাহাতি

নয়াদিল্লি, ৬ জানুয়ারি (হি.স.): দিল্লি কর্পোরেশনে মেয়র নির্বাচনের ভোট শুরুর আগে শুক্রবার সিভিক সেন্টারে বিশাল হই-হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে। মনোনীত কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সিভিক সেন্টার। সিভিক সেন্টারে দিল্লির মেয়র নির্বাচনের আগে বিজেপি এবং আপ কাউন্সিলররা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। মেয়র নির্বাচন ঘিরে দুপুর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে পুরসভায়। আপ এবং বিজেপি কাউন্সিলরদের হাতাহাতিতে বেশ কয়েক জনের চোট লেগেছে বলে খবর।

দিল্লির পুর আইন বলছে, মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে ‘দলত্যাগ বিরোধী আইন’ কার্যকরী নয়। আর সেই ‘অঙ্কে’ ভর করেই কাউন্সিলর সংখ্যার হিসাবে অনেক পিছিয়ে থেকেও মেয়র ভোটে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। ফলাফল বোঝা যাবে শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই।
২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে মেয়র পদে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন। ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরভোটে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতে সেই ‘ম্যাজিক ফিগার’ ছুঁয়ে ফেলেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেমে আসে ১০৪-এ। ৯টি ওয়ার্ডে জেতেন কংগ্রেস প্রার্থীরা।

দিল্লি পুরসভার মেয়র পদে আপ প্রার্থী করছে প্রথম বার কাউন্সিলর নির্বাচনে জয়ী শেলি ওবেরয়কে। ৩৯ বছর বয়সি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা শেলি ‘বিজেপির ঘাঁটি’ হিসাবে পরিচিত দিল্লির ইস্ট পটেলনগর এলাকার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন। ডেপুটি মেয়র পদে আপের প্রার্থী আলে মহম্মদ খান। আপ নেতা তথা ৬ বারের বিধায়ক শোয়েব ইকবালের ছেলে এ বার চাঁদনি মহল এলাকা থেকে ১৭ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন।
বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনসংখ্যা না থাকলেও এখনই মেয়র পদের আশা ছাড়তে নারাজ বিজেপি। তারা মেয়র পদে প্রার্থী করেছে রেখা গুপ্তকে। ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী কমল বাগরী।