নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ ডিসেম্বর৷৷ বর্তমান রাজ্য সরকারের কাছে দারিদ্র্য দূর করা বড় চ্যালেঞ্জ নয়৷ এখন বড় চ্যালেঞ্জ’ হলো নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলা৷ দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করা হচ্ছে৷ বর্তমান সরকার গরীব অংশের মানুষের জন্য পাকা ঘরের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে৷ বিনামূল্যে পানীয়জল এবং বিদ্যৎ সংযোগের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা তুলনায় অনেক কমেছে৷ আজ মোহনপুর সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যাটেলাইট ওপিডি সাবস্টিটিউশন থেরাপি সেন্টারের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন৷
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাপকে ঘৃণা করতে হবে, পাপীকে নয়৷ তেমনি বিভিন্ন কারণে যারা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে তাদের ঘৃণা না করে যারা নেশার বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত তাদের ঘৃণা করতে হবে৷ রাজ্যে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে৷ রাজ্যের যুব সম্পদায়কে বিপদগামী করতে বিভিন্ন ধরনের চক্রান্ত চলছে৷ নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে শিক্ষামন্ত্রী সব অংশের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অনিতা দেবনাথ, লেফুঙ্গা বিএসির ভাইস চেয়ারম্যান বুদ্ধ দেববর্মা, মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব ড. দেবাশিস বসুু, সমাজসেবী ধীরেন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রীণা দেববর্মা৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. শঙ্কর দাস৷ এই অনুষ্ঠানে ড্রাগের কবল থেকে মুক্ত হওয়া জয়বত নাথ এবং কৌশিক কলই আলোচনা করেন৷ অনুষ্ঠানের পর শিক্ষামন্ত্রী ত্রিপুরা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের মোহনপুর শাখার এটিএম কাউন্টারের উদ্বোধন করেন৷