আমবাসা(ত্রিপুরা), ২৪ ডিসেম্বর(হি. স.) : ত্রিপুরায় রেশনে মিলবে সয়াবিন, ভোজ্য তেল ও গুড়ো মশলা। ধলাই জেলায় কমলপুর টাউন হলে জাতীয় ভোক্তা দিবসের অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দিয়েছেন ত্রিপুরার খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব।
এদিন ওই অনুষ্ঠান কমলপুরের নগর পিতা প্রশান্ত সিনহার সভাপতিত্বে ধলাই জিলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অনাদি সরকার, ৪৬ সুরমার বিধায়ক স্বপ্না দাস পাল, দুর্গাচৌমুহণী পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন শম্পা দাস, সালেমা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সুজিত বিশ্বাস, কমলপুর নগরের ভাইস চেয়ারপার্সন সুব্রত মজুমদার, খাদ্য দফতরের বিশেষ সচিব, অধিকর্তা, অতিরিক্ত অধিকর্তা, ক্রেতা সুরক্ষা অ্যসোর সভাপতি আইনজীবি অমৃতলাল সাহা সহ বিশিষ্টজনেদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব তথা আলোচনাচক্রে উদ্বোধকের বক্তব্যে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব বলেন, ত্রিপুরা সরকার গণবন্টণ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী ও ব্যাপক করার চেষ্টায় কাজ করে চলেছে। এর ফলে বিগত সরকারের আমলে বন্ধ করে দেওয়া চিনি ক্ষমতায় আসার পরই চালু করা হয়েছে। ধাপে ধাপে মসুর ডাল এবং চাপাতা নায্যমূল্যের দোকানে ভোক্তাদের সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন থেকে নায্যমুল্যের দোকানে সয়াবিন, ভোজ্য তেল এবং গুঁড়ো মশলা সরবরাহ করা হবে।
এদিন তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রতিটি পদক্ষেপে ক্রেতারা সচেতন হয়ে কেনাকাটা করবেন। তাঁর দাবি, প্রত্যেক ক্রেতাই ভোক্তা। এবং ক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্যই জাতীয় ভোক্তা সুরক্ষা দিবস পালন করা হয়। এই কাজে ছাত্রছাত্রীদের অন্তর্ভূক্ত করার অর্থ হলো আগামী প্রজন্মকে এই প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত করা। কারণ ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজে নিজের বন্ধু বান্ধব, পরিবার পরিজন এবং প্রতিবেশী ও পারিপার্শ্বিক সমাজকে সচেতন করে তুলতে পারবে।
এদিন স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচুর ছাত্রছাত্রী এবং উৎসাহী যুব সম্প্রদায় ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।