নয়াদিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর (হি.স.) : ২০১৪ থেকে গত আট বছরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ছয় হাজার ক্যাডার অস্ত্রশস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করেছেন। ৮০ শতাংশ কমেছে অসামরিক নাগরিক-মৃত্যু। আজ সোমবার এখানে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন কেন্দ্রীয় ক্ৰীড়া ও যুবকল্যাণ এবং তথ্য ও সম্প্ৰচার দফতরের মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ঠাকুর বলেন, ২০১৪ সালে দেশের হাল ধরেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। দেশের ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসবাদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ এবং মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হয়েছে। প্ৰধানমন্ত্ৰীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় এবং সবল নেতৃত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আজ শান্তির বাতাবরণ ফিরে এসেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ছয় হাজার সশস্ত্র ক্যাডার সরকারের কাছে অস্ত্রশস্ত্র জমা দিয়ে মূলস্রোতে ফিরে এসেছেন।
ইতিমধ্যে সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফসপা) ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং অসমের ৬০ শতাংশ অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হয়েছে, বলেন অনুরাগ। তিনি বলেন, মোদী সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসের ঘটনা ১৬৮ শতাংশ কমেছে। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ৯৪ শতাংশের বেশি। ৯ ডিসেম্বর তাওয়াং সেক্টরে ভারতীয় এবং চিনা সৈন্যদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, উভয় পক্ষের ‘কয়েকজন সেনা’ অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের সঠিক দিশায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৮০ শতাংশ অসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু কমেছে।