জয়পুর, ২৫ নভেম্বর (হি. স.) : জয়পুরে শুরু হওয়া অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সম্মেলনে সারা দেশ থেকে শত শত ছাত্রের সাথে অংশ নিয়েছেন নেপালের প্রতিনিধিরা । এই অধিবেশনেরবিশেষ বিষয় হল, অংশগ্রহণকারীদের হলদিঘাটি ও মানগড় থেকে আনা শহীদ ভূমির মাটিও দেওয়া হবে, যা দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে যাবে।
হলদিঘাটি এবং মানগড় ধাম থেকে শহিদ ভূমির মাটি নিয়ে উদয়পুর থেকে আসা বিদ্যার্থী পরিষদের জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য জয়েশ যোশি বলেছেন, হলদিঘাটির কথা কে না জানে, যেখানে মহারানা প্রতাপের বাহিনী আকবরের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছিল। মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য এখানে মহারানা প্রতাপের সেনাবাহিনীর অনেক বীর আত্মাবলিদান দিয়েছিলেন। তাঁর প্রিয় ঘোড়া চেতকও আত্মহুতি দিয়েছে এই বীরের মাটিতে। হলদিঘাটির ভূমি সকলের কাছে শ্রদ্ধেয়।
যোশী বলেন, মানগড় ধাম স্বাধীনতা আন্দোলনে আদিবাসী সমাজের সবচেয়ে বড় আত্মত্যাগের স্থান, যেখানে গোবিন্দ গুরুর আধ্যাত্মিক চেতনায় ব্রিটিশদের বয়কটের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। মানগড় ধামের আশেপাশে বসবাসরত আদিবাসী সমাজ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে হুঙ্কার তুলেছিল। গোবিন্দ গুরুর নেতৃত্বে ১৭ নভেম্বর ১৯১৩ সালে যখন এখানে একটি আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান চলছিল। তখন ব্রিটিশ সরকার গুলি চালায়। সেই গুলিতে ১৫০০ জনেরও বেশি আদিবাসী মানুষ নিহত হয়।
এই দুটি স্থানই মাতৃভূমি রক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করিয়ে দেয়। এই দুই স্থানের মাটি যখন দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে যাবে, তখন মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী সেই মহাপুরুষদের গল্প সবার কাছে পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি যুবকদের মধ্যে আত্মত্যাগের অনুভূতিও জাগবে।

