রাজস্থান – ২১১/৭ (২০)
ত্রিপুরা – ১১৮/৬ (২০)
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ অক্টোবর।। ট্র্যাডিশনাল পরাজয় ত্রিপুরার। ভিনু মানকড় ট্রফি ক্রিকেট। জাতীয় পর্যায়ের খেলা। আয়োজক বিসিসিআই। গ্রুপ সি-তে ছয় দলীয় আসরে প্রথম ম্যাচটি গোয়ার বিরুদ্ধে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় এক পয়েন্ট পকেটে এসেছিল। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচেই ৮৩ রানে লজ্জা জনক হার রাজস্থানের কাছে। কোথায় ২১২ রানের টার্গেট? জবাবে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ছয় উইকেটে ত্রিপুরার ১২৮ রান সংগ্রহ। পুনের আজম ক্যাম্পাসে ত্রিপুরা-রাজস্থানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরুতে, টস জিতে ত্রিপুরা দলের অধিনায়ক আনন্দ ভৌমিক প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজস্থানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। সীমিত ২০ ওভারে রাজস্থান ৭ উইকেটে ২১১ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে মিত ভাবসার- এর ২৭, পি এন জাঙ্গিদ-এর ৪৯, এস এ যাদবের ২৪, এম চৌধুরীর ২৮ এবং আ মালিকের অপরাজিত ৩৮ রান উল্লেখযোগ্য। জাঙ্গিদ আফসোস করছে ২৮ বল খেলে আটটি বাউন্ডারিও একটি ওভার বাউন্ডারি সহযোগে ৪৯ রান সংগ্রহ করে এক রানের জন্য অর্ধশত রান হাতছাড়া হওয়ায়। ত্রিপুরার বোলার দেবরাজ দে এবং দীপ্তনু চক্রবর্তী দুটি করে, পাশাপাশি রাজদীপ দত্ত, দীপায়ন দাস ও দুর্লভ রায় একটি করে উইকেট পেয়েছে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ত্রিপুরার ছেলেরা ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান সংগ্রহ করতেই নির্ধারিত কুড়ি ওভার ফুরিয়ে যায়। দলের পক্ষে নবারুণ চক্রবর্তী ২৫ বল খেলে দুটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি মেরে ছত্রিশ রান এবং দুর্লভ রায় ২৭ বল খেলে চারটি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারি মেরে আটত্রিশ রান উল্লেখযোগ্য। এছাড়া দেবরাজ দে’র অপরাজিত ১৬ এবং অধিনায়ক আনন্দ ভৌমিকের ১২ রান কিছুটা উল্লেখ করার মতো। রাজস্থানের বোলার আ মালিক এবং জাঙ্গীদ দুটি করে উইকেট পেয়েছে। ত্রিপুরার পরবর্তী ম্যাচ মেঘালয়ের বিরুদ্ধে। খেলা ১০ অক্টোবর পুনের আজম ক্যাম্পাসে। আশা করা হচ্ছে এই ম্যাচে ত্রিপুরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এবং জয় পাবে।