Jampuihill:ব্যাপক ধর্মান্তরকরণের ফলে জম্পুইহিলে নেই শারদোৎসব

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ সেপ্টেম্বর : বিশ্বকর্মা পুজার পর মহালয়া সম্পন্ন হয়েছে৷ পিতৃপক্ষের বিদায় নিয়ে দেবী পক্ষের শুরু হয়ে গেছে৷৷পুজার আর হাতাগোনা ১০৮ ঘন্টা সময় বাকী৷ অর্থাৎ বছর ঘুরে মা দুর্গার আবার মর্তে আগমন ঘটছে কিন্তু মা দুর্গা দুর্গতি নাশিনীর আগমনে রাজ্যের মানুষের দুর্গতি দূর হওয়ার কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে না৷ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি ঘন্টা সময় বাকী, কিন্তু আমজনতার মধ্যে কোন উচ্ছাস পরিলক্ষিত হচ্ছে না৷ গ্রাম – শহরে ঘুরে অনুভুত হচ্ছে যে পুজার আনন্দ মাত্র কিছু সংখ্যক লোকেরমধ্যে সীমাবদ্ধ হয়েছে৷ অভাব – অনটন এবং নানা সমস্যাকে পুজিঁ করেই পুজার দিনক্ষণ এগিয়ে চলছে৷ এখন পর্যন্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে উত্তর এবং ঊনকোটিজেলা মিলে মোঠ পুজা হচ্ছে প্রায় ছয়শতটি৷

পুজার আয়োজনের দিক থেকে উত্তরজেলা সদর ধর্মনগরের পর শিল্পনগরী কুমারঘাটের স্থান রয়েছে৷ তৃতীয়স্থানে রয়েছে ঊনকোটি জেলাসদর কৈলাশহর৷ কুমারঘাটে বেশ কয়েকটি ক্লাব লাখোয়ারী দুর্গা পুজার আয়োজন করে থাকে৷ এবছর ও করেছে৷ এই তালিকায় দেশবন্ধু চিত্ররঞ্জন ক্লাব, সুভাষ সংঘ, ইয়ুথ ক্লাব, ফটিকরায়ের ভেনগার্ড ক্লাব,কাঞ্চনবাড়ীর ইন্ডিয়া ক্লাবের নাম রয়েছে৷ ধর্মনগরে এগিয়েচলো ক্লাব, জেলরোডের ক্লাব কনসেনসাসনয়াপাড় সার্বজনীন, চন্দ্রপুর সার্বজনীন, আপনজন ক্লাব সহ বিভিন্ন ক্লাবের নাম রয়েছে৷ উত্তর এবং ঊনকোটি জেলার প্রায় সবস্থানে দুর্গা পুজার আয়োজনের সংবাদে রয়েছে৷ কিন্তু এবছর ও মা দুর্গা জম্পুই হিলে প্রবেশ করতে পারেনি৷ জম্পুই হিলের দশটি গ্রামে দুর্গাপুজা আয়োজনের জন্য আরক্ষা দপ্তরের কাছে আবেদন জমা পড়েনি৷ অথচ এক সময়ে জনজাতিরা জম্পুই হিলেও দুর্গা পুজার আয়োজন করত বলে জানা গেছে৷ 

কিন্তু ব্যপক ধর্মান্তকরনের ফলে জম্পুইহিলে দুর্গা পুজা বন্ধ হয়ে পড়েছে৷ পুজার দিনগুলি শান্তিপুর্ন রাখতে আরক্ষা দপ্তর এবং মহকুমা প্রশাসনগুলি পুজা উদ্যোক্তাদের নিয়ে শান্তি বৈঠক করেছে৷ আরক্ষা দপ্তরের এক জেলা আধিকারীক জানিয়েছেন পুজার দিনগুলিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রনে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ বিভিন্ন স্থানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ সময় গড়ানোর সাথে সাথে পুজা উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতিও তুঙ্গে তোলা হয়েছে৷ রাত দিন বিরামহীনভাবে প্যান্ডল নির্মান সহ আলোকসজ্জার কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু যাদের জন্য এত আয়োজন সেই আমজনতার মধ্যে শান্তি নেই৷ এর প্রধান কারণ আর্থিক প্রতি বন্ধকতা৷ সাধারণ মানুষের হাতে পয়সা নেই৷ ঠিকাদাররা এখনও বিল পায়নি৷ গতকাল সরকারীকর্মচারীরা বেতন পেয়েছে কিন্তু তাতেও বাজার তেজী হয়নি৷ ব্যবসায়ীরা ধারনা করেছিল কর্মচারীরা বেতন পেলে বাজার তেজী হবে৷ কিন্তু তা হল না৷ বৃষ্টি বাঁধা সৃষ্টি করেছে৷ সোমবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝিরঝির বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ আকাশ গুমরা হয়ে রয়েছে৷ এই অবস্থায় বাজার তেজী হয়নি বাজারে বেচাবিক্রি এখন ও তেজী হয়নি৷ মুষ্টিমেয় বড় দোকান বেচাবিক্রি করছে৷ কিন্তু সাধারণ দোকানদাররা খদ্দেরের জন্য পথ চেয়ে আছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *