বাংলাদেশ জুড়ে গ্যাসের সংকট, চরম ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : বাংলাদেশ জুড়ে রান্নার গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকরা।

সবচেয়ে বেশি সংকট রয়েছে সদর ও বন্দর উপজেলায়।এই ২ উপজেলাতেই রয়েছে ৩ শতাধিক শিল্প কারখানা। সদর উপজেলার সস্তাপুর, কাশীপুর, বাবুরাইল, ভোলাইল, গাবতলী, বিসিক, কায়েমপুর, শহরের টানবাজার, পাইকপাড়া, নন্দীপাড়া, দেওভোগ, বন্দরের আমিন ও রূপালী আবাসিক এলাকা, সোনাকান্দা, নবীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা ভুগছেন গ্যাস সংকটে। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে শিল্পকারখানায় কোথাও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস নেই। গ্যাসের বিল পরিশোধ করার পরও কাঙিক্ষত সরবরাহ না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন তারা।

বাংলাদেশে দিনে মোট ৩৮০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে পেট্রোবাংলা সরবরাহ করতে পারত ৩০০ কোটি ঘনফুটের মতো। এখন পারছে ২৭৫ থেকে ২৮০ কোটি ঘনফুট। কারণ, চড়া দামের কারণে বৈশ্বিক খোলাবাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস কেনা বন্ধ আড়াই মাস ধরে।অন্য সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন অথবা সার কারখানায় সরবরাহ কমিয়ে শিল্পে গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা হতো। এখন সেই সুযোগটিও নেই। কারণ, বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল্প জ্বালানি ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলের দাম বেড়ে গেছে। ফলে গ্যাস দিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হচ্ছে। সার কারখানা বন্ধ করে দিলেও বিপদ। বিশ্ববাজারে সারের দাম চড়া, আমদানিতে বাড়তি খরচ লাগছে। তাই দেশি সার কারখানা চালু রাখতে হচ্ছে।