আগরতলা, ২৬ আগস্ট (হি. স.) : ত্রিপুরায় বিজেপির নতুন প্রদেশ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন রাজীব ভট্টাচার্য। বিদায়ী প্রদেশ সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে দলের প্রদেশ কমিটির দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই রাজীব বাবুর অকপট বার্তা, প্রত্যেক কার্যকর্তার কাছে যাব। তাঁদের ফুল দিয়ে বরণ করব। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই, সমস্ত কার্যকর্তাদের কাছে তিনি আগামী কয়েক মাসের সময় চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় বিজেপির প্রদেশ সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন রাজীব ভট্টাচার্য। আজ প্রদেশ মুখ্য কার্যালয়ে বিদায়ী প্রদেশ সভাপতি দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন। এ-বিষয়ে বিজেপির ত্রিপুরা প্রভারী সাংসদ বিনোদ সোনকর বলেন, বুথ স্তর থেকে কার্যকর্তা পর্যন্ত দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন কাটিয়ে আজ প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন রাজীব ভট্টাচার্য। এখন পর্যন্ত তিনি সমস্ত দায়িত্ব পুরো নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে সংগঠন আরও মজবুত, এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন বিনোদ সোনকর।
এদিন বিদায়ী প্রদেশ সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বলেন, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি ত্রিপুরায় বিজেপি সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম। সে মোতাবেক দলীয় সংবিধান মেনে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ওই পদে তাঁর মেয়াদ রয়েছে। কিন্তু, এখন তাঁকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাই, দুইটি গুরু দায়িত্ব পালন কিছুটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এজন্যই বিজেপির প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরে এসেছি। তবে, এখন যোগ্য ব্যক্তির হাতেই বিজেপির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজীব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে দল আরও শক্তিশালী হবে, আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রাক্তন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও নতুন প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের প্রতি আস্থা ও ভরসা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত আসনে দল জয়ী হবে সেই লক্ষ্যেই ঝাঁপাবে। ত্রিপুরার মানুষ এখন নিরাশা থেকে বেরিয়ে আশায় বুক বাঁধতে শিখেছেন। তাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রীয় সভাপতির ভব্য আশীর্বাদ নিয়ে বিজয় যাত্রায় নামব। তিনিও দাবি করেন, নতুন সভাপতির যোগ্য পরিচালনায় ত্রিপুরায় বিজেপির সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে।
এদিন প্রদেশ বিজেপির নতুন সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, ভাবিনি কখনো রাজ্যে দলের সর্বোচ্চ আসনে বসতে পারব। বহু পুরনো কার্যকর্তাদের কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে বলেন, অতি সাধারণ কার্যকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেছিলাম। এখন ত্রিপুরায় সমস্ত কার্যকর্তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। তিনি বলেন, আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করতে হবে না। সমস্ত পৃষ্ঠাপ্রমুখ এবং কার্যকর্তাদের কাছে গিয়েই তাঁদের আমি ফুল দিয়ে বরণ করব। তাঁর আহবান, মাস কয়েক বাদেই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। সমস্ত কার্যকর্তাদের কাছে আগামী কয়েক মাসের সময় চেয়ে নেব।