হাফলং (অসম), ১৮ আগস্ট (হি.স.) : অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার কঠোর নির্দেশকে অমান্য করে পুনরায় সাধারণ নাগরিকের ওপর অত্যাচার পুলিশের। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ অভিযোগে বেধম প্রহার করে বীরত্ব প্রদর্শন ট্রাফিক পুলিশের।
হাফলং শহরে ট্রাফিক পুলিশের এক জওয়ান জনৈক ব্যক্তিকে লাথি মারা থেকে শুরু করে লাঠি দিয়ে বেধড়ক প্রহার করার দৃশ্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। রাজ্যে এখন পুলিশের আতিশয্যে সাধারণ নাগরিকদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। অপরাধ দমনের নামে গুণ্ডাগিরি চালাচ্ছে পুলিশ।
হাফলং শহরে কৃষি ভবনের সামনে এ ধরনের একটি ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বুধবার। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করা হয়েছে অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক প্রহার করে ট্রাফিক পুলিশ। পুলিশের জঘন্য এই কাণ্ড গোপন ক্যামেরায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। কেউ যদি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে তা-হলে ওই ব্যক্তির চালান কাটা হয়। কিন্তু ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় এভাবে কাউকে ট্রাফিক পুলিশের বর্বর প্রহার নিয়ে তীব্র চাঞ্চ্যলের সৃষ্টি হয়েছে হাফলং শহরে। পুলিশের এহেন কাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন শহরবাসী।
কেউ আইন অমান্য করলে এর বিরুদ্ধে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় মারপিট করার বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন শহরের সচেতন নাগরিকরা। এদিকে ট্রাফিক আইন অমান্যকারী ব্যক্তিকে ট্রাফিক পুলিশের এক জওয়ান শারীরিকভাবে অত্যাচার চালানোর ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ার পর হাফলং থানার ওসি রঞ্জিত শইকিয়া বলেন, বুধবার মদ্যপান করে হেলমেট না পরে, মোটর বাইক চালিয়ে আসছিলেন এক ব্যক্তি। নাকা চেকিঙে থামিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তখনই ওই ট্রাফিক পুলিশের জওয়ান রেগে তাকে মারপিট করেছেন জানিয়ে ওসি বলেন, ঘটনা সম্পর্কে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।

