নিজস্ব প্রতিনিধি, কল্যাণপুর, ১০ জুন৷৷ কল্যাণপুরে বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই৷ একের পর এক অভিযোগ৷ ভোক্তাদের দাবি অভিযোগ বক্স খোলা উচিত৷ কল্যাণপুরের সব চেয়ে বড় ১১ কে ভি ফিডার কমলনগর ফিডারের যন্ত্রনায় মানুষ বিরক্ত৷ এই ফিডারে বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে৷ মান্ধাতার আমলের পরিবাহী তার ও নষ্ট ট্রান্সফারমার জোড়াতাপ্পি দিয়ে কোনোক্রমে চলছে এই ফিডার৷ ঘিলাতলী থেকে বড়মুড়া পর্যন্ত বিস্তৃত এই অকেজো ফিডার৷ বৃষ্টি ঝড় জল না হলেও এই ফিডার হঠাৎ করেই ঘন্টার পর ঘন্টার জন্য অকেজো হয়ে যায়৷ নিগমের এক কর্তা জানান জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গেছে এই ফিডার৷ কমলনগর ফিডার গেছে বেশ কিছু রাবার বাগানের মধ্য দিয়েও৷ তাই প্রায় সময়ই রাবার গাছ পরে ফিডার অচল হয়ে যায়৷ কিন্ত বৃষ্টি না থাকলে ফিডার কেন অচল হয় তার কোন জবাব ওই নিগম কর্তা দিতে পারেননি৷ বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ এই ফিডারে বিদ্যুৎ চলে যায়৷ ফলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পরে ঘিলাতলী, ওয়াতিলং, পুলিশ পাড়া, বাঘবেড়, রজনী সর্দার পাড়া, একরাই, রাইদাস গগন চৌধুরী, বাতেখা, অমর কলোনী, গোজাখা, ঘনিয়ামারা, তোতা বাড়ী, সহ কমলনগর৷ জানা গেছে পরিবাহী তার গুলো অত্যন্ত পুরোনো হয়ে গেছে৷ এগুলো দিয়ে আর কাজ চলছে না৷ অথচ সরকার বা নিগমের এই গুলো বদল করারও কোন সদিচ্ছা নেই৷ ভোক্তারা দাবি করেন এ বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা নিক নিগম৷ এদিকে কমলনগর ফিডারে আছে প্রায় চল্লিশটির উপর ট্রান্সফরমার৷ যার অধিকাংশই অত্যন্ত পুরানো৷ প্রায় সময় বিনা কারণে এগুলো বিগড়ে যায়৷ এর পর তাপ্পি মেরে কাজ চালাতে হয়৷ বৃহস্পতিবার রাতে যে এই ফিডারে বিদ্যুৎ যায় তার আংশিক চালু হয় শুক্রবার বারোটা নাগাদ৷ বেলা তিনটা নাগাদ ফিডার পুরোপুরি চালু হয়৷ কিন্ত কখন যে আবার এই ফিডার অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে তা কেউ বলতে পারে না৷ বিদ্যুৎ না থাকলে পানীয় জল পরিষেবাও বন্ধ থাকে৷ সব মিলিয়ে কমলনগর ফিডার এর মানুষ এক দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন৷ উল্লেখ্য কল্যাণপুরে মোট সাতটি ফিডার আছে৷ এর মধ্যে ধলাবিল ও গামাইবাড়ির ৩৩ কে ভি ফিডার দিয়ে কল্যাণপুরে বিদ্যুৎ আসে৷
2022-06-10