আগরতলা, ৩০ মে (হি. স.) : ত্রিপুরায় উপনির্বাচনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা দিয়েছে বামফ্রন্ট। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে চারটি আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা দিয়ে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান নারায়ণ কর বলেন, অকাল নির্বাচন বিজেপির চরম ব্যর্থতার পরিণাম। তাঁদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ৯-১০ মাস বাকি থাকতেই ত্রিপুরাবাসীকে অতিরিক্ত নির্বাচনের বোঝা বইতে হচ্ছে।
এদিন তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ৬ নম্বর আগরতলা কেন্দ্রে কৃষ্ণা মজুমদার, ৮ নম্বর টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে রঘুনাথ সরকার, ৪৬ নম্বর সুরমা কেন্দ্রে অঞ্জন দাস এবং ৫৭ নম্বর যুবরাজনগর কেন্দ্রে শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথ বামফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরায় ওই চারটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল ২৬ জুন আসবে। তাঁর কথায়, উপনির্বাচনে এবার বামফ্রন্ট দুইজন নতুন মুখ এনেছে। ৮ নম্বর টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী বিশ্বনাথ সাহা এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তাঁর বদলে রঘুনাথ সরকার দাঁড়াচ্ছেন। অন্যদিকে, ৫৭ নম্বর যুবরাজনগর কেন্দ্রেও প্রার্থী এবারই প্রথম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তাঁর দাবি, প্রার্থী বাছাইয়ে বামফ্রন্ট দীর্ঘ আলোচনা এবং বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বামফ্রন্টের সমস্ত শরিক দলের অনুমোদনক্রমেই ওই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। উপনির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়াই করব। এদিন তিনি গণদেবতার কাছে ভোট ভিক্ষা করে বলেন, ত্রিপুরায় গত চার বছরে সমস্ত অপশাসনের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। তিনি বলেন, বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বেকাররা কাজের জন্য হন্য হয়ে ঘুরছেন। ৫০ হাজার চাকুরীর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন ত্রিপুরা সরকার বলছে ৫ হাজার স্থায়ী চাকুরী দিয়েছে।
এদিন নারায়ণ কর কটাক্ষ করে বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ২৫ বছরের কর্ম পরিকল্পনা করেছিলেন। অথচ তিনি পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেননি।তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন করুক। সুষ্ঠভাবে ভোট হলে চারটি আসনেই বামফ্রন্টের জয় নিশ্চিত।