বক্সনগর, ৩ মে : খুশির ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হল। বক্সনগরে ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে গাড়ির নিচে চাপা পরে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে কিশোরের।
আজ সকাল ৬টা থেকে বক্সনগর এলাকায় ঈদের নামাজ শুরু হয়েছিল৷ নামাজ চলে সকাল ৯ টা পর্যন্ত৷ নির্বিঘ্নে যখন বক্সনগর এলাকার ২৯টি ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করা হয়, তখন মানুষ ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য একে অপরকে সাথে নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ান। কিন্ত, ঈদের আনন্দে মশগুল যুবক জনি আহমেদ(১৬) বিকাল ৪টা নাগাদ বাগবের পঞ্চায়েতের সামনে বক্সনগর-সোনামুড়া রাস্তার উপর গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন৷ গাড়ির চাকা তার মাথা থেতলে দিয়েছে। তার বাড়ি উত্তর কলমচৌড়া৷
জনি আহমেদ বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মাধ্যমিক সেন্টারে বর্তমানে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে৷ জনি আহমেদ ঈদের আনন্দ-উল্লাস করার জন্য বন্ধুদের সাথে নিয়ে দুপুর ১২টা নাগাদ বোলেরো পিকাপ গাড়ির মধ্যে সাউন্ড সিস্টেম মিউজিক নিয়ে এলাকায় ঘুরতে বের হয়৷ বিকাল ৪টা নাগাদ বাড়ির দিকে যখন ফিরছিল বাগবের পঞ্চায়েতের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পর নাচতে নাচতে গাড়ি থেকে পরে যায়৷ দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তার মাথা চলে যায় গাড়ির পেছনের চাকার নিচে৷
গাড়ির চাকার নিচে চাঁপা পরে তার মাথা থেতলে গেছে৷ ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে৷ গাড়ির চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জনির মৃতদেহ বক্সনগর হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ হাসপাতাল মর্গে বর্তমানে জনির মৃতদেহ রাখা হয়েছে৷ আগামীকাল সকাল বেলা ময়নাতদন্ত করার পর পরিবারের হাতে তার মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে৷ খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বনোজ বিপ্লব দাস কলমচৌড়া থানায় ছুটে আসেন৷ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গাড়িটি উদ্ধার করতে পারেনি৷ তবে এলাকাবাসী জানিয়েছে, গাড়ির মালিকের নাম রিপন খান৷
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, জনির পিতা ১০-১২ বছর পূর্বে তার মা-সহ আরো এক ভাই ও এক বোনকে রেখে বাংলাদেশের চলে যান৷ ফলে হতভাগী মা চায়না বেগম দিনমজুরির কাজ করে ছেলেমেয়েদেরকে লেখাপড়া ও সংসার চালাচ্ছিলেন৷ এই অবস্থায় জনির মৃত্যুতে হতদরিদ্র এই পরিবারটি জীবন চলার পথে অনেকটা কঠিন হয়ে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা৷ এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷