President Kaziranga : ‘পবন’-এর পিঠে চড়ে কাজিরঙা উপভোগ রাষ্ট্ৰপতি কোবিন্দের, শুক্ৰাচাৰ্য-এর পিঠে ফার্স্টলেডি সবিতা ও কন্যা স্বাতী

কাজিরঙা (অসম), ২৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : ‘পবন’ নামের হাতির পিঠে চড়ে কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করলেন রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দ। এছাড়া শুক্ৰাচাৰ্য-এর পিঠে চড়ে কাজিরঙার নৈসৰ্গিক প্ৰাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করেছেন ফার্স্টলেডি সবিতা কোবিন্দ এবং কন্যা স্বাতী। ত্রিদিবসীয় অসম সফরের আজ শেষ দিন রবিবার সকালে সহধর্মিণী সবিতা কোবিন্দ, কন্যা স্বাতী কোবিন্দকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি হাতি সাফারির মাধ্যমে দৰ্শন করেছেন কাজিরঙা জাতীয় উদ্যান।

আজ সকালে বন বিভাগের ‘পবন’ নামের হাতির পিঠে চড়ে উদ্যানের কঁহরা বনাঞ্চলের মিহিমুখ দৰ্শন করেন রাষ্ট্ৰপতি। হাতির মাহুত কাসেম আলি দেশের রাষ্ট্রপতিকে উদ্যান দৰ্শন করিয়েছেন। হাতির পিঠে চড়ে উদ্যান দৰ্শনের পর রাষ্ট্ৰপতি কোবিন্দ জিপসিতে উঠে উদ্যানের কাঠপরাদৰ্শন চূড়া পর্যন্ত গিয়ে কাজিরঙার মনোরম প্ৰকৃতি ও বন্যপ্ৰাণী দৰ্শন করেছেন৷ রাষ্ট্রপতির সঙ্গ দিয়েছেন অসমের বন ও পরিবেশ মন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্য, পশু ও কৃষিমন্ত্ৰী অতুল বরা, স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী কেশব মহন্ত সহ রাজ্য এবং রাষ্ট্রপতি ভবনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ৷

কাজিরঙা থেকে বোকাখাতে গিয়ে সেখানে সর্বজনীন খেলার মাঠে সরকার কর্তৃক পুড়োনো গণ্ডারের বহু খড়গের ভস্ম দিয়ে তৈরি একটি গণ্ডারের মূৰ্তির মাঙ্গলিক বিধিবলে উদ্বোধন করেছেন রাষ্ট্রপতি৷ এর পর প্রাতঃরাশ করে কঁহরার পরমানন্দ লাহন প্ৰেক্ষাগৃহে আয়োজিত কাজিরঙার ঐতিসাহিক সম্পদ এবং ইতিহাসের ওপর এক প্ৰদৰ্শনী দৰ্শন করেন তিনি। বন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত প্ৰদৰ্শনীতে রাষ্ট্ৰপতির সঙ্গ দেন মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা। এছাড়া কাজিরঙায় প্রস্তাবিত এলিভেটেড হাইওয়ে সম্পৰ্কে সংশ্লিষ্ট কৰ্তৃপক্ষ কর্তৃক তৈরি তথ্যচিত্ৰ রাষ্ট্ৰপতিকে দৰ্শন করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ সকালে রাষ্ট্রপতির কাৰ্যসূচিতে বিভাগীয় ১৫টি হাতি ব্যবহার করা হয়েছে৷ বীর, প্ৰদ্যুম্ন এবং লক্ষ্মীমাই নামের হাতিগুলির পিঠে চড়ে রাষ্ট্ৰপতির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উদ্যান দৰ্শন করেছেন৷ মাহুত কাসিম আলি পরিচালিত পবন-এর পিঠে রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দ, মাহুত মনোজ দরজি পরিচালিত শুক্ৰাচাৰ্য-এর পিঠে চড়েছিলেন ফার্স্টলেডি সবিতা কোবিন্দ ও কন্যা স্বাতী৷
এদিকে কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের নৈসৰ্গিক প্ৰাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করে আপ্লুত হয়ে পড়েন রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ। মিহিমুখে উদ্যান দৰ্শন করে সরকারি হাতিগুলিকে স্বহস্তে আঁটা কলা (বিচি কলা) খাইয়েছেন তিনি এবং তাঁর সহধর্মিণী সবিতা কোবিন্দ৷ নিজের সঙ্গে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকটি আঁটা কলা আবদার করেন রাষ্ট্ৰপতি৷ রাষ্ট্ৰপতির আবদার বলে কথা, ইচ্ছা ব্যক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে কাজিরঙা উদ্যান কৰ্তৃপক্ষ চারটি খাঁচায় ভরতি করে আঁটা কলা উপহার দেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে৷

কাজিরঙা সফর শেষ করে বেলা ১:৪৫ টায় হেলিকপ্টারে চলে যান যোরহাট বিমানবন্দরে। সেখানে রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর পরিবারের বিদায়যাত্রায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, মন্ত্রী যোগেন মোহন প্রমুখ।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ১৯৮১ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্ৰপতি হিসেবে কাজিরঙা সফরে এসেছিলেন রামনাথ কোবিন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *