Anniversary : কোভিড টিকাকরণের বর্ষপূর্তি : দেশে প্রায় ১৫৭ কোটি ডোজ দেয়া হয়েছে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জানুয়ারি৷৷ প্রধানমন্ত্রীর সুুযোগ্য নেতৃত্বে এক বছর আগে আজকের দিনেই স্বদেশীয়ভাবে প্রস্তুত কোভিড টিকাকরণের সূচনা হয়েছিল৷ দেশের নাগরিকদের জীবনের সুুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশব্যাপী বড় মাত্রায় টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে৷ আজ অরুন্ধতীনগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোভিড টিকাকরণ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ অরুন্ধতীনগর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নীতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ যেখানে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে সেই স্থানটি আজ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব পরিদর্শন করেন৷


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশে অল্প সময়ের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে কোভিড টিকা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে৷ এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, গত বছর এই দিন থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী টিকাকরণ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫৭ কোটি ডোজ প্রদান করা হয়েছে৷ মোট কোভিড টিকার ডোজ গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৭৬ কোটি ডোজ মহিলারা নিয়েছেন৷ জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি ও ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে মোট টিকার ডোজের মধ্যে ৯৯ কোটি কোভিড টিকার ডোজ গ্রামীণ এলাকায় দেওয়া হয়েছে৷ এরই ফলশ্রতিতে নগর কেন্দ্রীকতার বদলে টিকাকরণের সুুফল সমগ্র দেশব্যাপী বিকেন্দ্রীকরণ করা সম্ভব হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভোটার তালিকা অনুসারে ত্রিপুরায় কোভিড টিকার প্রথম ডোজ ৯৯.৫৩ শতাংশ ও দ্বিতীয় ডোজ ৮২.৩৫ শতাংশ প্রদান করা হয়েছে৷ তার পাশাপাশি ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া রাজ্য সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে৷ যার গড় প্রায় ৪২ শতাংশ৷ এক্ষেত্রে আরও দ্রততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বয়সের ছেলেমেয়েদের টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ চলছে৷


মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার বিকেন্দ্রীকরণে সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে যথার্থ স্বাস্থ্যবিধি ও অত্যাবশকীয় নীতি নির্দেশিকা প্রতিপালনের লক্ষ্যে সবার প্রতি আহ্বান রাখেন৷ কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী, সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, বিধায়ক মিমি মজমদার, বিধায়ক অরুণ চন্দ্র ভৌমিক, স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব জে কে সিনহা, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. রাধা দেববর্মা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা ডা. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল প্রমুখ৷