নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ নভেম্বর৷৷ সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যা বলেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তাই ত্রিপুরা হাইকোর্ট হলফনামা দিয়ে জবাব চেয়েছে৷ আগামী ১৪ ডিসেম্বর পুনরায় শুনানির দিন ধার্য হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, পুর ও নগর নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত করার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ সাংসদ সুস্মিতা দেবের দায়েরকৃত আবেদনের শুনানিতে পুর নির্বাচন যাতে অবাধ ও ভয়মুক্ত পরিবেশে হয়, তা সুনিশ্চিত করার জন্য ত্রিপুরা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ সেই সাথে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ও স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে যৌথ প্রতিবেদনও চেয়েছিল সবর্োচ্চ আদালত৷ বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, সূর্য কান্ত এবং বিক্রম নাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, যে কোনও রাজনৈতিক দল যাতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য আইন অনুসারে তার অধিকারগুলি অনুসরণ করতে বাধা না দেয় তা নিশ্চিত করা রাজ্য পুলিশের দায়িত্ব৷ আদালত বলেছে, ‘আমরা আশা করি, রাজ্যের আইন প্রয়োগকারী ব্যবস্থাপনা সহ সরকার এবং ডিজিপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে৷’
বিচারপতিদের বেঞ্চ আরও বলেছে, স্বতন্ত্র নিরাপত্তার জন্য, সমস্ত আটটি জেলার এসপি প্রতিটি মামলা এবং এলাকার বিষয়ে হুমকির উপলব্ধি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং প্রয়োজন অনুসারে নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন৷ বর্তমান আদেশ অনুসারে পদক্ষেপগুলি ব্যাখ্যা করে এবং ত্রিপুরায় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে তা নিশ্চিত করার জন্য হলফনামা দাখিল করতে হবে৷ ডিজিপি এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের সম্মতি সংক্রান্ত একটি যৌথ প্রতিবেদন দাখিল করার জন্যও সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে৷
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে ওই আবেদনে মিথ্যা বলেছেন আবেদনকারিণী৷ ত্রিপুরা হাইকোর্টে ছুটি চলছে, তাই আবেদনকারিণী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন৷ আজ ত্রিপুরা হাইকোর্টে তৃণমূলের দায়েরকৃত মামলার শুনানিতে বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্র সুপ্রিমকোর্টে আবেদনের বক্তব্যের হলফনামা চেয়েছেন৷ আবেদনকারিণী সুপ্রিমকোর্টে বলেছিলেন, সংবিধানের ধারা ২২৬ মোতাবেক ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু নির্দিষ্ট অবকাশের জন্য ওই আবেদন গ্রহণ হয়নি৷ আবেদনকারিণীর ওই বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট৷
আগামী ১২ ডিসেম্বর পুনরায় শুনানির দিন ধার্য হয়েছে৷ এ-বিষয়ে ত্রিপুরার তাথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, সত্যকে লুকিয়ে রাখা যায় না৷ মিথ্যার ওপর ভর করেই তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতি করছে৷ ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, রাজনীতির স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমকোর্টকে বিভ্রান্ত করেছে৷ সবর্োচ্চ আদালতে মিথ্যা বলেছে তারা৷ তাই, এখন ল্যাজেগোবরে হওয়ার অবস্থা ধরেছে, কটাক্ষ করেন তিনি৷